দেশে ভ্যাকসিন আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সব শাখাই তৎপর : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২০, ৫:৫১ অপরাহ্ণ

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন,”দেশে ভ্যাকসিন আনতে সরকারের কভিড-১৯ সংক্রান্ত সব শাখাই তৎপর রয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত খোজ নিচ্ছেন। বিশ্বে ভ্যাকসিন আবিষ্কার এখন আডভান্স লেভেলে আছে। যুক্তরাজ্য,চীন,রাশিয়া,আমেরিকা,ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ করছে। এই ভ্যাকসিন গুলোর গুনগত মান যাচাই-বাছাই করেই প্রধানমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহণ করবেন।”

সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওয়ালটনের সহযোগিতায় তাইওয়ান এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার কর্তৃক কোভিড-১৯ মোকাবেলায় মেডিকেল সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক,এমপি।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে র‍্যাপিড টেস্ট পরীক্ষা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,”করোনায় তিন ধরনের পরীক্ষা বর্তমানে হয়ে থাকে।এগুলো হচ্ছে পিসিআর টেস্ট,এন্টিজেন্ট টেস্ট ও র‍্যাপিড এন্টিবডি টেস্ট।এর মধ্যে র‍্যাপিড এন্টিবডি টেস্ট করার ব্যাপারে এই মুহূর্তে কোন পরিকল্পনা নেয়া হয়নি।পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি এন্টিজেন্ট টেস্ট শুধু সরকারি ল্যাবগুলোতেই করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।”

কভিড মোকাবেলায় সরকারের নানা উদ্যোগ তুলে ধরে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন,”বাংলাদেশ সফল ভাবেই কোভিড-১৯ মোকাবেলা করে যাচ্ছে। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হবার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশের বিমান, নৌ এবং স্থল বন্দরগুলোতে সময়মত স্ক্রীনিং এর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তখন আমাদের পর্যাপ্ত মেডিকেল সামগ্রী ছিল না, যা ছিল তাই দিয়ে আমরা পরিকল্পিত ভাবে এ মহামারি মোকাবেলা শুরু করি। দেশের স্পেশালাইষ্ট হাসপাতাল ঘোষণা করে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখন হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা অনেক কম। এ সকল হাসপাতালে ৬০-৭০ ভাগ সিট খালি থাকছে। এখন আমরা স্পেশালাইষ্ট হাসপাতালের সংখ্যা কমিয়ে সাধারণ চিকিৎসার জন্য খুলে দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, তাইওয়ান এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ১ লাখ সার্জিক্যাল মাস্ক, ১৬০০ এ-৯৫ মাস্ক, ২০ হাজার কাপড়ের মাস্ক, ১০ হাজার ফেস ফিল্ড, ৫০০ পিপিই, ২০০ গগলস এবং ২ সেট ভেন্টিলেটর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে।

সভায় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও কম্পিউটার বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, ঢাকাস্থ তাইওয়ান এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক তিথমি ডব্লিউ ডি সো এবং ম্যানেজার রঞ্জন চক্রবর্তী।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...