ভারতে প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডের টাকা খরচে দুর্নীতি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২০, ৮:৪৫ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রীর করোনা মোকাবিলায় গঠিত পিএম কেয়ার্সে দুর্নীতির অভিযোগ মঙ্গলবারই প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি পিএম কেয়ার্স নিয়ে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই রায়ে কেন্দ্রের স্বস্তি মিললেও এবার এই তহবিলের বরাদ্দ অর্থে কেনা ভেন্টিলেটরগুলির দামে বিস্তর কারচুপির অভিযোগ উঠেছে।
একটি আরটিআই-র মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পিএম কেয়ার তহবিলের টাকায় কত ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে, কোন কোন সংস্থা বরাত পেয়েছিল, ভেন্টিলেটরগুলির দাম কত ছিল, কোন কোন রাজ্যের কোন কোন হাসপাতালে সেই ভেন্টিলেটরগুলি দেওয়া হয়েছে? সেই আরটিআই-এর উত্তরেই জানানো হয়েছে, মেক ইন ইন্ডিয়া ৫৮ হাজার ৮৫০টি ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে। তার জন্যে পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে বরাদ্দ করা হয়েছিল ২ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখ্য, আরটিআই-টি করেছিলেন অঞ্জলি ভরদ্বাজ নামে এক সমাজকর্মী।

সোমবারই কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, আপনার টেক কেয়ার ফান্ডে কত জমা পড়েছে, সেটা আগে বলুন। আর অঞ্জলি দেবীর অভিযোগ, ভেন্টিলেটর কেনার ক্ষেত্রে ও বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি দুর্নীতি নজরে এসেছে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার থেকে ভিন্ন দামে ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে। আরটিআই-এর যে জবাব পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী, অ্যালায়েড মেডিক্যাল নামে একটি সংস্থা থেকে প্রতিটি ভেন্টিলেটর কিনতে দেওয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা করে, অথচ আগভা হেলথ কেয়ার নামে একটি সংস্থার থেকে ভেন্টিলেটর কিনতে খরচ করা হয়েছে প্রতি ভেন্টিলেটর পিছু মাত্র দেড় লক্ষ টাকা।

শুধু তাই নয়, মোট ৬টি সংস্থা থেকে ভেন্টিলেটর কেনা হলেও তার দুটিকে অনুমোদনই দেয়নি বিশেষজ্ঞ কমিটি। জ্যোতি সিএনভি অটোমেশন ও এএমটিজেড নামে সংস্থা রয়েছে তার মধ্যে। করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসা সামগ্রী কিনতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হলেও তার অনুমোদন পায়নি, এমন দুটি সংস্থার থেকে কেন ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে পিএম কেয়ার্স তহবিলের টাকায় ভেন্টিলেটর কেনার ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে একাধিকবার অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আরটিআই-এ সেই তথ্যই যেন প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও তাই কেন্দ্রকে বিঁধছে অস্বচ্ছতার অভিযোগই।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...