সুনামগঞ্জ জেলার গোবিন্দগঞ্জ গোলচত্বরটিকে ডা: হারিছ আলীর নামে নামকরণের দাবি

আনসার আহমেদ উল্লাহ,

  • প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২০, ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

সিলেট-সুনামগন্জ সড়কে সুনামগন্জ জেলার প্রবেশদ্বারে ছাতক ঊপজেলার গোবিন্দগন্জ-সৈদের গাঁও ইঊনিয়নে গোবিন্দগন্জ বাজার পয়েন্টটিতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) একটি ‘গোলচত্বর’ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

গোবিন্দগন্জ বাজারের ঊল্লিখিত “গোলচত্বরটিকে” মুক্তিযুদ্ধে ৫ নং সেক্টরের অন্যতম সংগঠক ও রেজিমেন্টাল মেডিক্যাল অফিসার ডা: হারিছ আলীর নামে “বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হারিছ আলী চত্বর” নামকরণের জন্যে একুশে গানের রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখেছেন।

মরহুম ডা: হারিছ আলী ছাত্রজীবন হইতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে দীক্ষিত হইয়া বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঝাঁপাইয়া পড়েন। সেই ঊদ্দেশ্যে ডা: হারিছ আলী আমৃত্যু ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে বিপুল ত্যাগ স্বীকার কাজ করে গেছেন। ‘৭০ দশকের শেষভাগে এবং ‘৮০র দশকের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন তখন যে কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা তাঁহার চারপাশে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাব্যূহ রচনা করিয়াছিলেন ডা: হারিছ ছিলেন তাদের অন্যতম। ১৯৮০ সালের ১৬ আগস্ট লন্ডনের ইয়র্ক হলে জননেত্রীর প্রথম রাজনৈতিক সভার আয়োজকদেরও অন্যতম ছিলেন ডা: হারিছ আলী। তিনি যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার্থে বিলাতে আসেন। যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে বঙ্গবন্ধু হত্যা তদন্তে আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনে এবং তহবিল সংগ্রহে কাজ করেন।

ডা: হারিছ আলী মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫ নং সেক্টারের অন্যতম সংগঠক। তিনি একই সেক্টারে চিকিৎসক হিশেবে অর্থাৎ ‘রেজিমেন্টাল মেডিক্যাল অফিসার’ হিশেবেও মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সেবা শুশ্রুষা করেন। সেজন্যে জননেত্রীর সরকার ২০১৪ সালে ডা: হারিছকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পদকে (মরণোত্তর)’ ভূষিত করে।

বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে ডা: হারিছ আলী একটি সুপরিচিত নাম। তিনি ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সুনামগন্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং ছাতক ঊপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘকালীন সভাপতি ও আহবায়ক। আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, ‘আপন দল, দেশ এবং মানুষের জন্যে তার ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা আজ সর্বস্তরের মানুষের মুখেমুখে ফিরিতেছে। তদুপরি তাঁহার জন্মস্হানও ঊক্ত চত্বরটির অনতিদূরে; ছাতক ঊপজেলার জাঊয়া বাজার ইঊনিয়নের দেবের গাঁওয়ে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ঊপরি-ঊক্ত গোবিন্দগন্জ পয়েন্টে নির্মাণাধীন চত্বরটিকে ডা: হারিছ আলীর নামে নামকরণ করিলে ছাতক-দোয়ারা তথা বৃহত্তর সুনামগন্জ জেলার দেশপ্রেমিক জনগণও তাহা আনন্দচিত্তে গ্রহণ করিবে।‘

তাছাড়াও বাংলাদেশে, ছাতকে ডা: হারিছ আলী স্মৃতি পরিষদ’ এই দাবিটি বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...