চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ কমেছে

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২০, ২:৩৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা ও হার অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৬৩ জনের দেহে এবং হার ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগের দিন ১৪৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ শনাক্ত হয় এবং হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, উভয়ক্ষেত্রেই যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, চট্টগ্রামের ছয়টি ল্যাবে শনিবার ৯৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৫৬ জন এবং তিন উপজেলার ৭ জন। উপজেলায় সংক্রমণে রয়েছে হাটহাজারীতে ৫ জন, রাউজানে ২ জন ও আনোয়ারায় ১ জন। ফলে জেলায় করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২২ হাজার ৫৪৫ জন। এতে শহরের রয়েছেন ১৬ হাজার ৭১০ ও বিভিন্ন উপজেলার ৫ হাজার ৮৩৫ জন।

শনিবার করোনাক্রান্ত এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩১০ জন। এর মধ্যে শহরের ২১৬ জন ও উপজেলার ৯৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন আরও ৬১ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ১৮১ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩ হাজার ৪৪৯ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় ১৩ হাজার ৮৩০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে নতুন যুক্ত হন ২৫ জন এবং ছাড়পত্র নেন ২৭ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ১৩৩ জন।

ল্যাবভিত্তিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৭৩৯ জনের নমুনায় ৬ জন করোনাক্রান্ত চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৯৩ জনের নমুনায় ২৫ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৪৮টি নমুনার ১০ টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৪ টি নমুনার সবক’টিরই পজিটিভ রেজাল্ট আসে।

নগরীর বেসরকারি ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৮০টি নমুনার ১১ টিতে এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২২ টির ৭ টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে।

শনিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা হয়নি এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে জানা যায়, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৮১, চমেকে ২৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ, চবি’তে ২০ দশমিক ৮৩, আরটিএলে শতভাগ, শেভরনে ১৩ দশমিক ৭৫, এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...