সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
রাজবাড়ীর পাংশায় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলায় আসাদ মণ্ডল নামে একজনের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী। শুক্রবার পাংশা পৌর এলাকার বিষ্ণুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় সন্ধ্যার দিকে।
এ ঘটনায় রিক্তা খাতুন নামে ওই গৃহবধূকে মারধর করেন স্বামীর বাড়ির লোকজন। বর্তমানে দুজনেই পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আসাদ মণ্ডল একই গ্রামের আব্দুস সামাদ মণ্ডলের ছেলে।
আসাদের স্বজনরা জানান, প্রথম স্ত্রী সালমা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়ার পর দুই বছর আগে রিক্তা খাতুনকে বিয়ে করেন আসাদ। কিন্তু আসাদ প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত মোবাইলে কথা বলতেন। কিন্তু তা ভালোভাবে নেননি রিক্তা খাতুন। এ নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল।
বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আসাদ ও রিক্তার ঝগড়া হয়। শুক্রবার সকালের দিকে স্বামী আসাদ ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর গোপন অঙ্গ কেটে দেন রিক্তা খাতুন। লজ্জায় ও ভয়ে আসাদ বিষয়টি কাউকে বলেননি। কিন্তু ব্যথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে পরিবারের সদস্যদের জানান।
পরে তাকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা। ওই সময় প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে রিক্তা খাতুনকে মারধর করে। তাকেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি জানতে চাইলে রিক্তা খাতুন জানান, আসাদ তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার বিষয়টি তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে স্বামীর গোপন অঙ্গ কাটেন তিনি।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন জানান, দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03