শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে যা করণীয়……

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২০, ৬:২৫ অপরাহ্ণ

শীতকাল মানেই উৎসব। এ সময় খাওয়া-দাওয়া অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি হয়। সে কারণে গ্যাসের সমস্যাও বাড়ে। এছাড়া গরম পোশাক বেশিক্ষণ পরে থাকায় পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়। ফলে বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্য। যাদের সারা বছর সমস্যা হয় না, তাদেরও শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট পরিষ্কার হয় না। ফলে গ্যাসের সমস্যা লেগেই থাকে। তখন খাওয়ারও কোনও রুচি থাকে না। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে সেখান থেকে কোলন ক্যান্সারও হতে পারে।

তাই শীতে খাওয়া দাওয়া নিয়ে সকলেরই সচেতন থাকা দরকার। শীতে প্রয়োজনের তুলনায় কম পানি খাওয়া হয়। সেখান থেকেও অনেকের সমস্যা হয়। শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে যা করবেন –

ইষবগুলের ভূষি :

দিনের যে কোনও সময় ইষবগুলের ভূষি খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটি খাওয়া যেতে পারেন। পানিতে ভিজিয়ে সামান্য চিনি বা মিছরি দিয়ে ইষবগুলের ভূষি খেতে পারেন। দুধের সঙ্গেও এটি খেতে পারেন।

খই :

সকালের নাস্তায় বা রাতে খই খেতে পারেন। দুধ খই অথবা টকদই দিয়ে খাওয়া যায়। খইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় এটি পেট পরিষ্কার করতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও টকদইয়ের মধ্যে থাকা প্রোবায়োটিক হজমে সাহায্য করে। হজম ভালো হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।

পানি :

শীতেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। দিনের শুরুতে হালকা গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খান। এতেও উপকার পাবেন। সেই সঙ্গে নিয়মিত হাঁটুন। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে তরল জাতীয় খাবিার যেমন-স্যুপ খেতে পারেন।

কফি :

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খুব ভালো কাজ দেয় চিনি ছাড়া কালো কফি।

এলাচ :

একটি বড় এলাচ এক কাপ গরম দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এই এলাচটি থেঁতো করে দুধের সঙ্গেই খেয়ে ফেলুন। তীব্র কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সকালে আর রাতে এই ভাবে এলাচ-দুধ খেতে পারলে দ্রুত উপকার পাবেন। বাঁ দিকে পাশ ফিরে ঘুমোলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।

ফাইবার খান :

কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে প্রতিদিন পাকা পেঁপে, আপেল খেতে পারেন। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি, ডাল খেতে পারেন। তেল মশলা দিয়ে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলুন।

পর্যাপ্ত ঘুম :

পেট পরিষ্কারের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ঘুম ভালো হলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়। আর শীতে জুবুথুবু হয়ে বসে না থেকে হাঁটাহাঁটি করা উচিত। রাতে খাবার খেয়ে অন্তত দু ঘন্টা পর ঘুমোতে যান। তাহলে হজম ভালো হবে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...