সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম ও উজানচর ইউনিয়নের মরা পদ্মার ফসলী জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। প্রতিবছরই প্রশাসনের চোখের সামনে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন করে থাকে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোকজন।
এতে প্রতিবছরই কমছে ফসলী জমি আর বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গনের হুমকিতে পড়তে হচ্ছে এই এলাকায় বসবাসরত হাজার হাজার মানুষের। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ার নুরু মন্ডলপাড়া, ক্যানেলঘাট, দেবগ্রামের তেনাপচা ও উজানচড়ের মরা পদ্মানদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা লাগাতার বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।এতে হুমকিতে পরেছে পদ্মা নদীর পাশে অবস্থিত চড় জেগে ওঠা উর্বর আবাদি জমি ও কয়েক হাজার বসবাসকারী সাধারণ মানুষ। বালু উত্তোলনের ফলে আবাদি ফসলসহ জমি ও বসত বাড়ির চার পাশ ভেঙ্গে পড়ছে।
ফসলসহ জমিগুলো থেকে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে এখানকার বালু মাটি। এতে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের আতঙ্ক বিরাজ করছে এখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বালু উত্তোলন বন্ধ করতে বলা হলেও তারা এতে কর্ণপাত করেন না। উল্টো ভয়ভীতি দেখানো হয় এলাকাবাসীদের।
এলাকাবাসীরা বলেন, প্রতিবছরই এসব জমি থেকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করে থাকে। তাদের নিষেধ করা হলেও কথাতো শোনেইনা উপরন্তু ভয়ভীতি দেখানো হয় তাদের। এতে ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে, আগের চাইতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে চাষিদের। বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ফলে তাদের বসবাস হুমকির মুখে পরবে বলে আশঙ্কা করছেন এই এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে কাদের ফকির ,আবজাল হোসেন ও শহিদ শেখ প্রতিবছরই নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। অবৈধ এসব ড্রেজার দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান এলাকাবাসী।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, এর আগে এমন অভিযোগ তিনি পাননি। দ্রুত উপজেলা প্রশাসনকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে নির্দেশ দিবেন। এমন কেউ যদি বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03