সীমান্তে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে নিহত এক

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৯:০৫ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, তমব্রু হেডম্যান পাড়ার ৩৫ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমারের ভেতরে মাইন বিস্ফোরণে আহত হন এক বাংলাদেশি।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কোনার পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসবাস ছিল। সেটির বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে ওই কিশোর নিহত হন। সে শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা মুনির আহমদের ছেলে। আহত ব্যক্তিরা হলেন সাহদিয়া (৪), মো. আনাস (১৫), নবী হোসেন (২১), জাহিদ আলম (৩০) ও আহত অপর একজনের নাম জানা যায়নি।

শূন্য রেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যার পর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি, মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রাত ৮টার দিকে শূন্য রেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে এসে পড়ে ৩টি মর্টার শেল। ক্যাম্পের নিটকবর্তী এলাকায় এসে পড়ে আরও ১টি মর্টার শেল। ৪টি মর্টার শেলই বিস্ফোরণ হয়েছে। ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।

এরআগে আজ দুপুরের দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অংথোয়াইং তঞ্চঙ্গা (২২) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের পা উড়ে গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার ৩৫নং পিলারের ৩০০ মিটার মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ওই ঘটনা ঘটে।

আহত ওই যুবকের মা ইয়াং মে চাকমা বলেন, দুপুরের দিকে গরু চড়াতে চড়াতে অংথোয়াইং ও আরও কয়েকজন যুবক মিয়ানমার সীমান্তের কাঁটাতারের কাছাকাছি চলে যায়। সেখানে হঠাৎ বিকট শব্দে কিছু একটা বিস্ফোরণ হয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। সেখানে উপস্থিত যুবকরা আমার ছেলেকে উদ্ধার করে কক্সবাজারের কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি বুলেট এসে পড়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। তার আগে ২৮ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা একটি মর্টারশেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। পুরো পরিস্থিতি শান্তভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেশে নিযুক্ত মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তিন দফায় ডেকে এনে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপরও মিয়ানমারের সীমালঙ্ঘন থেমে থাকেনি।

সূত্র: পার্সটুডে

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...