শাকিরার বিরুদ্ধে অভিযোগ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ৬:৫২ অপরাহ্ণ

কলোম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরার বিরুদ্ধে ১১৫ কোটি টাকারও বেশি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যার কারণে আইনি জটিলতায় পড়েছেন এই গায়িকা।

জানা গেছে, এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাকিরার আট বছরের জেল হতে পারে। পাশাপাশি ২.৩৫ কোটি ডলারেরও বেশি জরিমানা হতে পারে।

তবে এমন অভিযোগের বিপরীতে এতদিন চুপ থাকলেও এবার তিনি মুখ খুলেছেন। পাঁচ বছর পর গানের অ্যালবাম মুক্তিকে ঘিরে নানা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ‘পপ সম্রাজ্ঞী’। শাকিরার মতে, কর ফাঁকির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে অকারণে ফাঁসানো হয়েছে।

এক প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগেও আয়কর দফতর থেকে মিটমাট করে নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন শাকিরা। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রায় ১২১ কোটিরও বেশি কর বাকি দেখানো হয়েছিল। স্পেনের গায়িকা জানিয়েছিলেন, তিনি সেই সময় দেশে ছিলেনই না! তাই কর দেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না।

যদিও আদালতের নথি অনুসারে, শাকিরা সেই সময়সীমার মধ্যে স্পেনেরই নাগরিক ছিলেন। কারণ, তিনি ২০১২ সালে বার্সেলোনায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন। কারাবাসের সময় ছাড়াও তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকে জরিমানা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

সম্প্রতি এলে ম্যাগাজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গায়িকা জানালেন, তার বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ আনার পর তিনি এবার ‘নীতিগতভাবে’ মামলায় লড়বেন। শাকিরার যুক্তি, কর দেওয়ার মতো উপযুক্ত সময় তিনি দেশে কাটানইনি। বললেন, ‌‘বিশ্বজুড়ে আমার পেশাদার প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যস্ত ছিলাম…স্প্যানিশ সরকার আমার কাছে এক পয়সাও পায় না।’

গায়িকা জানান, তিনি শুরু থেকে স্বচ্ছভাবে কাজ করছেন। তার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার। সেগুলো আদালতের সামনে পেশ করবেন। আরও বলেন, ‘মামলা দায়ের করার আগেই আমার যা যা কর বাকি ছিল, তা সবই মিটিয়ে দিয়েছি।’

স্পেনের সরকারি আইনজীবীর তরফে দাবি করা হয়েছে, বার্সেলোনার ফুটবলার জেরার্ড পিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর ২০১১ সালে স্পেনে বসবাস শুরু করেন শাকিরা। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে স্পেনের সাধারণ নাগরিক ছিলেন এই গায়িকা। ২০১২ সালের মে মাসে বার্সেলোনায় বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। শাকিরার তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাহামসের করদাতাদের তালিকায় ছিল তার নাম।

তবে স্পেনের সরকারি আইনজীবীর তরফে শাকিরাকে কী চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা জানা যায়নি। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণও জানানো হয়নি।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও এবিপি

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...