শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প এবং সার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উৎপাদন কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৈঠকে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান। বৈঠকে কমিটি সদস্য মো. আবু জাহির, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান সাংবাদিকদের জানান, কমিটির বৈঠকে কারখানায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটির পকষ থেকে শতভাগ রপ্তানীমুখী শিল্প এবং সার ও নিত্যপণ্য উৎপাদনকারী শিল্পে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অফশোর ব্লকের গ্যাস উত্তোলনের কথা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তেল গ্যাস অনুসন্ধানে উৎপাদন বণ্টন চুক্তিও (পিএসসি) পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী করতে বলা হয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)-এর ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করা হয়।
এতে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়াত্ব এ কম্পানিটি ২০২০-২১ অর্থ বছরে দুই লাখ ৩৬ হাজার ১৩২.৯৫০ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস বিক্রি করে ৮৯১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৪৩ লিটার পেট্রোল, ৪৮ লাখ ৯৮ হাজার ১৭৯ লিটার ডিজেল ৯ লাখ ৪৫ হাজার লিটার লাইট কনডেনসেট ও দুই কোটি ৯ লাখ ৬১ হাজার হেভি কনডেনসেট বিক্রি করে মোট ১২৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং কনডেনডেট হ্যান্ডেলিং বাবদ ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা আয় করেছে। এ ছাড়া আমানতের ওপর ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা সুদসহ আয় হয়েছে।
এ ছাড়া কম্পানিটির ওই অর্থ বছরে রাজস্ব দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১২৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ভ্যাটসহ ব্যয় হয় ৯৫১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। করপূর্ব নীট লাভ হয় ১৭৪ কোটি টাকা। ওই অর্থ বছরে কোম্পানী ভ্যাট বাবদ ৪৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা, লভ্যাংশ ৪৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, আয়কর ৫৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং ডিএসএল বাবদ ২৯৯ কোটি টাকাসহ মোট ৮৫৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।

 Print This Post