জেলা পরিষদ নির্বাচন : সুনামগঞ্জে ফের চেয়ারম্যান হলেন মুকুট, হবিগঞ্জে ডা. মুশফিক

সিলেট অফিস,

  • প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ৪:৫৬ অপরাহ্ণ

সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারও চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট (মটর সাইকেল) ৮ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। সোমবার বিকেলে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন ইভিএম এ প্রাপ্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। ১২ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে বিজয়ী নুরুল হুদা মুকুট পেয়েছেন ৬১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত খায়রুল কবির রুমেন(ঘোড়া)। তিনি পেয়েছেন ৬০৪ ভোট। ভোটের ব্যবধান ৮। নির্বাচনে এই দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। সদস্য পদে ৩৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী করেন। উল্লেখ্য, নুরুল হুদা মুকুট সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এর আগে ২০ বছর জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিগত দিনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন । বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামীলীগ তাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার করা হয়।

হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে ৯৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সোমবার বিকেল ৫ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে বেসরকারী ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন হবিগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোল্লা আবু নঈম মো. শিবলী খায়ের আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৭ ভোট। এছাড়াও অপর প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নূরুল হক চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৩টি।
এবারের নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১১ শত ৪টি ভোটের মধ্যে কাস্টিং হয়েছে ১ হাজার ৮১ টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৮১ টি। বাতিল ভোটের সংখ্যা ৪টি। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৮৫টি।
প্রসঙ্গত, গত দুই মেয়াদে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী।
এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলার ৯ টি উপজেলাকে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। ৯টি জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও ৯টি উপজেলা পরিষদের ১১ শত ৪ জন ভোটার ছিলেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এর আগে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয় ইভিএম পদ্ধতিতে। কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...