সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
চট্টগ্রামে পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যা আয়াতকে অপহরণের পর খুন করে লাশ ছয় টুকরো করে খালে-সাগরে ভাসিয়ে দেয়ায় খণ্ডিত দেহের অংশ মিলেছে সাগরপাড়ে স্লুইচ গেট এলাকায়। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআইয়ের এক পরিদর্শক।
তিনি বলেন, নির্মম হত্যার শিকার শিশু আয়াতের পায়ের অংশ পেয়েছে আমাদের টিম। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা ও সাহিদা আক্তার তামান্না দম্পতির মেয়ে আয়াত। তিনতলা ভবনের মালিক সোহেলের ওই এলাকায় একটি মুদির দোকান আছে। আয়াত স্থানীয় তালীমূল কোরআন নূরানী মাদরাসার হেফজখানার ছাত্রী ছিল।
আবীর আলী (১৯) নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা আজহারুল ইসলামের ছেলে। তাদের বাড়ি রংপুর জেলায়। শিশু আয়াতকে খুনের মামলায় তার সম্পৃক্ততার তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর গত ২৪ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর আবীরকে নিয়ে পুলিশ নগরীর আকমল আলী সড়কের স্লুইচ গেট সংলগ্ন নালায় এবং পরবর্তীতে আউটার রিং রোড সংলগ্ন বে-টার্মিনাল এলাকার সমুদ্র পাড়ে যায়। সাগরের পানিতে’ভেসে যাওয়ায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তবে আকমল আলী সড়কে তার মায়ের বাসার সামনে একটি ঝোপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করে। এছাড়া আয়াতের বাসার পাশে কবরস্থানে আয়াতের পায়ের স্যান্ডেলও উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় আয়াতের বাবা বাদী হয়ে নগরের ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন। রোববার শিশু আলীনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণের পর হত্যায় অভিযুক্ত রিমান্ডে থাকা আবীর আলীকে সঙ্গে নিয়ে ফের মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলোর সন্ধানে তল্লাশি চালায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03