সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী কুরস্ক শহরের একটি বিমানঘাঁটিতে মঙ্গলবার ড্রোন হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অঞ্চলটির গভর্নর। ইউক্রেনের যুদ্ধ অঞ্চলের কয়েকশ কিলোমিটারের মধ্যে রিয়াজান এবং সারাতোভ অঞ্চলে দুটি রাশিয়ান বিমানঘাঁটিতে একই ধরনের হামলার ঠিক একদিন পরেই এই মঙ্গলবার এই হামলা হল বলে জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা আরটি।
কুরস্ক অঞ্চলের গভর্নর রোমান স্টারোভয়েট মঙ্গলবার সকালে একটি টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, ড্রোন হামলার ফলে কুরস্ক বিমানঘাঁটি এলাকায় একটি তেল স্টোরেজ ট্যাঙ্কে আগুন ধরে যায়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে সমস্ত জরুরী সংস্থাগুলো। গভর্নরের শেয়ার করা প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রুশ সামরিক বাহিনী বলেছে, ড্রোনগুলোকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গুলি করা হয়েছে। তবে উল্লেখ করা হয়েছে বিমানঘাঁটিতে থাকা দুটি বিমানের সামান্য ক্ষতি করেছে এবং সাতজন সেনা সদস্য আহত হয়েছেন মারাত্মক আহত । তাদেরকে চিকিৎসার জন্য সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এরআগে রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার রিয়াজান অঞ্চলের দিয়াগিলেভো বিমানঘাঁটি এবং সারাতভ অঞ্চলের এঙ্গেলস বিমানঘাঁটিতে কম উচ্চতায় উড়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি ‘সোভিয়েত-নির্মিত’ ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর দক্ষিণ-পূর্বে রিয়াজান শহরের কাছে একটি বিমানক্ষেত্রে একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছে। এছাড়াও ইউক্রেনের প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পূর্বে সারাতোভ অঞ্চলে এঙ্গেলস বিমান ঘাঁটিতে কমপক্ষে একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে। যেখানে আরও দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
যদিও ইউক্রেন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার পেছনে ইউক্রেন থাকলে, ২৪ ফেব্রুয়ারী আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের ভেতরে সবচেয়ে দূরবর্তী অনুপ্রবেশ হবে ।
এদিকে মার্কিন ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার বলেছে, এই হামলার পেছনে সম্ভবত ইউক্রেনীয় বাহিনী রয়েছে।
অন্যদিকে দুইটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনার কয়েকঘন্টা পর ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রাশিয়া। এতে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিদ্যুৎ গ্রিডে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটে বলে জানান হয়। এ ছাড়া দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ওডেসাও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়াও রাশিয়ার হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03