আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৩:৫৫ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংঘাত নয়, সমঝোতা ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করা হচ্ছে, যুদ্ধ করার জন্য নয়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শান্তি ও সুহৃদ স্থাপন করা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব করা।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতি হিসেবে আমরা সর্বদা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তিপূর্ণ সহবস্থানকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সেই নীতি মেনেই আমরা সুসম্পর্ক বজায় রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে আমরা এই নীতিমালা মেনেই চলি। নিকট প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক সব দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সংঘাত নয়, সমঝোতা ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে যে কোন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

তিনি বলেন, যেকোনও যুদ্ধ যে মানবজাতির জন্য কী ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে ১৯৭১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা তা নিজেরা দেখেছি। আর বর্তমানে যখন রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান রয়েছে সেই যুদ্ধের ভয়াবহতা সেটা আপনারা দেখতে পারেন। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আমি আন্তর্জাতিক মহলেও সকালের কাছে এই আহ্বানই জানিয়েছি এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। কোনও সমস্যা থাকলে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে।

সরকার প্রধান বলেন, নিকট অতীতে শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন আমরা দেখাতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার এই দুটি দেশের সঙ্গে আমাদের যে সমুদ্রসীমার বিরোধ ছিল আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করেছি। আমাদের ল্যান্ড বাউন্ডারি নিয়ে সমস্যা ছিল, সেই সমস্যাও আমরা ভারতের সঙ্গে সমাধান করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’। জাতি হিসেবে আমরা সর্বদা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি। সেই নীতি মেনেই আমরা সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশ আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিগত দুই দশক ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশগুলোর একটি। ২০১০ সাল থেকে সুদূর ভূমধ্যসাগরের লেবাননে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ মোতায়ন রয়েছে। এসব কার্যক্রম বিশ্ব শান্তির প্রতি আমাদের অঙ্গীকারেরই বহিঃপ্রকাশ।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...