২০২৩ সালেই চালু হতে পারে ‘উড়ন্ত ট্যাক্সি’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

উলম্ব বরাবর টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ে সক্ষম আকাশযান বা ইভিটল সাধারণভাবে উড়ন্ত ট্যাক্সি নামে পরিচিত। এর নির্মাতাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে চলেছে ২০২৩। নতুন বছরেই বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর জন্য ছাড়পত্র পাওয়ার আশা করছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। সেটি হলে আকাশপথে যাত্রী পরিবহনে আরেকটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে খুব শিগগির।
উড়ন্ত ট্যাক্সিগুলো সাধারণত আধ-ডজনেরও কম যাত্রী বহন করবে। এটি অনেকটা ড্রোনের মতো একাধিক ছোট ছোট রোটর ব্যবহার করে উল্লম্ব বরাবর উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারে। রোটরগুলো সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় উড়ন্ত ট্যাক্সি চালানো হেলিকপ্টারের চেয়ে সহজ এবং স্বয়ংক্রিয় উড্ডয়নেও বিশেষভাবে সক্ষম। তাছাড়া, বেশি সংখ্যক রোটর থাকায় বাড়তি নিরাপত্তা পাওয়া যাবে। কারণ, এক বা একাধিক রোটর বন্ধ হয়ে গেলেও এই ট্যাক্সি মাটিতে পড়বে না।
কিছু ইভিটলের নকশায় অনুভূমিক উড্ডয়নে সাহায্য করতে পেছনে একটি বা দুটি অতিরিক্ত রোটর ব্যবহার করা হয়। বাকিগুলোতে সামনের দিকে কাত হয়ে থাকা রোটর রয়েছে। এগুলো প্রপেলারের মতো কাজ করে। এসব ট্যাক্সিতে থাকা এক জোড়া ছোট ডানা উড়তে সাহায্য করার পাশাপাশি ব্যাটারির কার্যকারিতা ও উড্ডয়ন সীমা বাড়ায়।
এই নতুন আকাশযানগুলোকে ব্যবহারযোগ্য হিসেবে অনুমতি দেওয়ার জন্য এরই মধ্যে নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন নিয়ন্ত্রকরা। এটি বহু-পর্যায়ের প্রক্রিয়া। এতে উড়ন্ত ট্যাক্সির ‘ধরন’ অনুমোদনের পাশাপাশি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর আগে কারখানাগুলোকেও প্রত্যয়িত করতে হবে। এছাড়া, ভাড়ায় যাত্রী বহন করতে হলে এয়ারলাইনের মতো লাইসেন্সও প্রয়োজন। সংস্থাগুলো অবশ্য এই অনুমোদন পেতে কঠোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ফ্লাইটের আগে পাইলটচালিত উড্ডয়নের অনুমোদন দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ব্যতিক্রম হতে পারে চীন। চীনা সংস্থা ইহ্যাং তাদের দুজন যাত্রীবাহী আকাশযানের ফ্লাইট পরীক্ষায় সেই দেশের বিমান চলাচল প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উড়বে। অটোফ্লাইট নামে আরেকটি চীনা সংস্থা তার উড়ন্ত ট্যাক্সি অনুমোদনের জন্য জার্মানিতে ধারাবাহিকভাবে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তাদের ট্যাক্সিতে তিন যাত্রী ও একজন পাইলটের (অন্তত প্রাথমিকভাবে) আসন রয়েছে। সাংহাই-ভিত্তিক সংস্থাটি মনে করছে, ইউরোপে অনুমোদন পেলে তা অন্য বাজারগুলোতে প্রবেশের গতিও বাড়িয়ে দেবে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...