সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর ওরফে মাসুদ এবং তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ মো. আবুল বাশার মৃধা ওরফে আলমকে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
জঙ্গিদের অবস্থানের তথ্য পেয়ে সোমবার ভোরে ৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ ব্লকে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-২, র্যাব-৩ এবং র্যাব-১৫ এর যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানকালে রনবীর এবং বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৩টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১টি ব্লাঙ্ক কার্টিজ, ২টি একনলা বন্দুক, ১১টি ১২ বোরের কার্তুজ, ১টি খালি খোকা, ১০০ রাউন্ড ২২ বোরের গুলি, ১টি মোবাইল, নগদ ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৬০ টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ২০ অক্টোবর বান্দরবান ও রাংগামাটি জেলার বিলাইছড়ি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সমতল থেকে পাহাড়ে আত্মগোপনকৃত ৭ জঙ্গি এবং তাদের সহায়তাকারী ৩ জন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ৭ আসামির মধ্যে নব্য জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সামরিক শাখার উপ-প্রধান সৈয়দ মারুফ আহমেদ মানিক ছিলেন।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিলাইছড়ি থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতের মাধ্যমে রিমাণ্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর ওরফে মাসুদের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে।
র্যাব জানায়, সংস্থাটি থেকে প্রকাশিত পাহাড়ে প্রশিক্ষণরত ৫৫ জনের তালিকায় গ্রেপ্তার আবুল বাশারের নাম রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ আবুল বাশার র্যাবকে জানিয়েছে, গত ৩ অক্টোবর র্যাব এবং অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর যৌথ অভিযান শুরু হওয়ার পর আবুল বাশার ৫৫ জনের দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাহাড় থেকে পালিয়ে সিলেট যান এবং সামরিক শাখার প্রধান রনবীরের কাছে আশ্রয় নেন। তারা দুইজন বেশ কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন করেন।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03