প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক নাম পরিবর্তনে নীতিমালা

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ


যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ হয়ে থাকলে তা পরিবর্তন করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ এ বিষয়টি জানানো হয়। সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহম্মদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। নীতিমালায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তনে চারটি কারণ বা যৌক্তিকতাকে বিবেচনায় আনা হয়েছে।

বিবেচনাযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রুতিকটু নাম, নেতিবাচক এবং শিশুমনে ও জনমনে প্রভাব ফেলছে; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম দেশের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামকরণে হয়ে থাকলে; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত আদালতের বিশেষ কোনো নির্দেশনা থাকলে এবং ভূমিকম্প, নদী ভাঙনসহ নানাবিধ কারণে বিদ্যালয়ের নামের দ্বৈততা বা জটিলতা দেখা দিলে তা পরিহার করে নাম পরিবর্তন বিবেচ্য হবে।

নীতিমালায় বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে চার ধরণের নামকরণ করা যাবে জানিয়ে বলা হয়, শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তি বা বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করা যাবে। তবে ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় একই উপজেলা, থানা বা সিটি করপোরেশনের হতে হবে। তাদের নামে একটির বেশি বিদ্যালয়ের নামকরণ করা যাবে না। তবে এ ধরণের ব্যক্তির মধ্যে কেউ রাষ্ট্রবিরোধী, ফৌজদারি, দেওয়ানি ও দুর্নীতির অপরাধে অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত হলে তাদের নামে বিদ্যালয়ের নামকরণ করতে হলে আদালত থেকে খালাসপ্রাপ্ত হতে হবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়, ক্ষেত্রবিশেষে এলাকার নামেও বিদ্যালয়ের নামকরণ করা যাবে। স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে সামঞ্জস্য সাপেক্ষে নাম পরিবর্তন ও নতুন নামকরণ করা যাবে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...