কোরআনে আগুন দেওয়ার ‘কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা’ চায় ওআইসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

সুইডেন, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কে সাম্প্রতিক কোরআনে আগুন দেওয়ার বিরুদ্ধে ‘কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা’ দাবি করেছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। সৌদি আরবের জেদ্দায় একটি বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে এক বিবৃতিতে মুসলিম সংগঠনটি পবিত্র কোরআনের সাম্প্রতিক অবমাননার বিরুদ্ধে সাধারণ অবস্থানের কথা জানিয়েছে।

বুধবার আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে যে সদস্য দেশগুলো বলেছে, ‘তারা ঘৃণ্য ইসলামবিদ্বেষী হামলার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ওআইসি দ্বারা নেওয়া সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।’

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেন ব্রাহিম ত্বহা উগ্র ডানপন্থী (খ্রিস্টান) কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তার হতাশার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মঙ্গলবার তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এই ধরনের কর্মকাণ্ডগুলো মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু করে সংঘটিত করা হয়েছে। এটা অপরাধমূলক কাজ। মুসলিমদের পবিত্র ধর্ম, মূল্যবোধ এবং প্রতীককে অবমাননা করার মূল উদ্দেশ্য নিয়েই এসব ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

হিসেন ব্রাহিম ত্বহা বলেন, ‘এসব অপরাধমূলক কাজ যে সকল দেশে সংঘটিত হয়েছে, সেসব দেশের সরকারকে অবশ্যই কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে। এ বিষয়ে বিশেষ জোর দিতে হবে। কারণ, ওই দেশগুলোতেই উগ্র ডানপন্থী চরমপন্থীরা বারবার এই ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।’

ওআইসি মহাসচিব আরও বলেন, ‘পবিত্র কোরআনের অবমাননা এবং নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে অপমান করার ইচ্ছাকৃত কাজকে ইসলামবিদ্বেষের একটি সাধারণ ঘটনা হিসেবে দেখা উচিত নয়।’ তিনি বলেন, এই ধরনের কাজগুলো সম্পূর্ণরূপে বিশ্বের ১৬০ কোটি মুসলিম জনসংখ্যার জন্য একটি সরাসরি অপমান। ত্বহা দাবি করেন, ‘সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে একই ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত না হয়।’

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...