প্রবাসী হয়রানি বন্ধ এবং নিরাপত্তা আইন পাশের দাবিতে ভেনিসে আহবায়ক কমিটি গঠন

বিশেষ প্রতিনিধি ইতালি।,

  • প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৩, ৬:৪৫ অপরাহ্ণ

প্রবাসী হয়রানি বন্ধ এবং নিরাপত্তা আইন পাশের দাবিতে ভেনিসে আহবায়ক কমিটি গঠন

বাংলাদেশের অর্থনীতির অক্সিজেন প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং প্রবাসী নিরাপত্তা আইন পাশের দাবিতে ভেনিসের বাংলাদেশি কম্যুনিটিতে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, ১৯ মার্চ, রোববার বিকেলে।

স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলম। আকবর হোসেন বেপারীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ভেনিস বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা পলাশ রহমান।

বক্তৃতা করেন, নাগরিক কমিটির সভাপতি কাশেম শিকদার, জুম্মন অনিক, আইনুদ্দিন মিয়া, বাচ্চু হাওলাদার, প্রমূখ।

প্রধান অতিথি পলাশ রহমান বলেন, ঢাকার এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি পদে প্রবাসীরা হয়রানির মুখোমুখি হন। প্রবাসীদের পরিবারগুলোও সুরক্ষা পায় না। তাদেরও নানা ভাবে হয়রানির মধ্যে ফেলা হয়।

তিনি বলেন, প্রবাসীরা বাংলােশের অর্থনীতির অক্সিজেন। দেশের বর্তমান রিজার্ভ সংকটের মধ্যে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সংকট মোকাবিলা করতে। প্রবাসের খরচ কমিয়ে তারা দেশে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। বিদেশি রিজার্ভ সংকট দুর করতে লড়াই করছেন। অথচ প্রবাসীরা দেশে যোগ্য সম্মান পান না। তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। পদে পদে চাদাবাজির শিকার হতে হয়। এসব থেকে মুক্তির জন্য সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। প্রবাসী এবং তাদের পরিবারের নিরাপত্তা দিতে সংসদে বিশেষ আইন পাশ করতে হবে।

বক্তারা দেশে গিয়ে হয়রানি হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, প্রবাসীদের সম্পদ দখল করার জন্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। পুলিশ সঠিক তদন্ত না করে অভিযোগপত্র দেয়। আদালত বিনা তদন্তে প্রেফতারি পরোয়ানা দেয়। যা শুধু প্রবাসীদের প্রতি ‘অকৃতজ্ঞতা’ প্রকাশই নয়, সাধারণ মানবাধিকারও লঙ্ঘন। মানবিক শিষ্টাচার বিরোধী।

তারা বলেন, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক উন্নয়নও প্রয়োজন।

হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলে, আন্তরিক হলে প্রবাসী ও তাদের পরিবার নিপাপত্তা পাবে। যোগ্য সম্মান পাবে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে, মোহাম্মদ আলম কে আহবায়ক এবং আকবর হোসেন বেপারীকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করেন প্রধান অতিথি পলাশ রহমান।

বাংলাদেশে প্রবাসী ও তাদের পরিবার হয়রানির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...