প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’র আবেদন চলছে

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩, ২:১৬ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নীতিমালা- ২০২২ অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উচ্চ শিক্ষায় (পিএইচডি এবং মাস্টার ডিগ্রী) ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’র আবেদন শুরু হয়েছে। কিছু শর্ত সাপেক্ষে শুধুমাত্র বাংলাদেশি নাগরিকরা আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহীদের আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শর্তাবলি :

১। বাংলাদেশের নাগরিক যারা বিদেশ হতে ইতোপূর্বে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেননি তারা মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর যারা মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তারা পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন। (সরাকরি চাকরির ক্ষেত্রে যাদের চাকরি স্থায়ী হয়েছে শুধুমাত্র তারাই)।

২। আবেদনকারীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে নি:শর্ত এডমিশন অফার আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

৩। ২০২৩ সালের র‌্যাংকিং অনুযায়ী মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য ১ থেকে ২০০ এবং পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ১ থেকে ১০০ এর মধ্যে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান হতে অফার লেটার আনতে হবে।

৪। ফেলোশিপের আওতায় মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য ২ বছর এবং পিএইচডি ডিগ্রির জন্য সর্বোচ্চ ৩ বছর ফেলোশিপ প্রদান করা হবে।

৫। আবেদনকারীর বয়স অনুর্ধ্ব ৪৫ বছর হতে পারবে।

৬। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ফেলোশিপপ্রাপ্ত প্রার্থীগণ এই ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।

৭। ফেলোশিপের ফলাফল ঘোষণার পর অধ্যয়নের সেশন বা দেশ পরিবর্তন করলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহীরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে (https:/pmfellowship.pmo.gov.bd/) এলিজিবিলিটি টেস্ট দিয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরবর্তী বিবেচনায় ফেলোশিপ প্রদান করা হবে।

অনলাইন আবেদনপত্রের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে যেসব কাগজপত্র সংযুক্ত থাকতে হবে:

১. বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে নিঃশর্ত এডমিশন অফার (পূর্ণকালীন) আনকন্ডিশনাল অফার লেটার ( full- time) এর পিডিএফ ভার্সন আপলোড করতে হবে। সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বপক্ষে প্রমাণক হিসেবে সার্টিফিকেট ও মার্কসিট/ ট্রান্সক্রিপ্ট এর পিডিএফ ভার্সন আপলোড করতে হবে।

বৃত্তির জন্য আবেদনকারীর উপযুক্ততা, নির্দিষ্ট বিষয়/বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে প্রস্তাবিত অধ্যয়নের যোগসূত্র, এই অধ্যয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগানোর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং পেশাগত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে ইংরেজিতে অনধিক ৫০০ শব্দে পরিকল্পিত উদ্দেশ্যের বিবরণী (‘Statement of Purpose”) নির্ধারিত স্থানে টাইপ করতে হবে। উক্ত পরিকল্পিত উদ্দেশ্যের বিবরণীর কোন অংশেই আবেদনকারীর নাম ব্যবহার করা যাবে না, তবে বর্তমান ও পূর্ববর্তী পদবি, কর্মস্থল ব্যবহার করা যাবে। পিএইচডি আবেদনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্থানে গবেষণা প্রস্তাব (Research Proposa) আপলোড করতে হবে।

এছাড়া TOEFL iBT / IELTS (Academic) / PTE Academic পরীক্ষার ফলাফল এর পিডিএফ ভার্সন আপলোড করতে হবে। আবেদনকারী সরকারি কর্মকর্তা হলে, চাকরি স্থায়ী হতে হবে এবং চাকরি স্থায়ী হওয়ার প্রমাণক (গেজেট নোটিফিকেশন এর পিডিএফ ভার্সন যথাস্থানে আপলোড করতে হবে। অভিজ্ঞতার সনদ (শুধুমাত্র বেসরকারি আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে) এর পিডিএফ ভার্সন আপলোড করতে হবে। জাতীয় পরিচয় পত্র এবং পাসপোর্ট এর সনাক্তকরণ পৃষ্ঠা (National Identity Card NID and Passport Identification page) আপলোড করতে হবে; আবেদনকারী এবং তার কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর (তারিখসহ) ও সীলসহ (যথাস্থানে) আপলোড করতে হবে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...