সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেট্রাপোল বন্দরে রপ্তানি করা মাছের ভেতরে থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে ভারতীয় বিএসএফ। শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর আমদানি-রপ্তানিতে নজরদারি শুরু করছে প্রশাসন। স্বর্ণপাচারকারী গডফাদাররা বৈধ পণ্যের অন্তরালে এ অবৈধ কারবার শুরু করায় বৈধ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছে। ব্যবসায়ীদের দাবি বেনাপোল বন্দর সুরক্ষিত না থাকায় একের পর এক অনিয়ম ধরা পড়ছে।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার মোস্তফা অর্গানিক নামক একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩ টন তেলাপিয়া মাছ সাতক্ষীরা ড-১১-০০৪৭নং ট্রাকের মাধ্যমে ভারতে রপ্তানি করেন। যার বিল অব এন্ট্রি নং সি-১৯২৫১ তারিখ ১২/০৩/২০২৩। পণ্যের মূল্য ৭৫০০ মার্কিন ডলার। পণ্য চালানটি রপ্তানির জন্য ব্রাদার্স সেন্ডিগেট নামক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোল কাস্টমসে ডকুমেন্টস দাখিল করেন। পণ্য চালানটি আমদানি করেন ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বাবা ইন্টারন্যাশনাল। পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রয়েস ইন্টারন্যাশনাল। বৈধ মাছের মধ্য থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশি মাছ বোঝাই ট্রাকটি নোম্যান্সল্যান্ডে পৌঁছলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতের কল্যানী থেকে আসা ১৪৫ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা ট্রাকটি তাদের জিম্মায় নিয়ে নেন। পরে ট্রাক থেকে মাছের প্যাকেট নামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তেলাপিয়া মাছের মধ্য থেকে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৪ কেজি ৬৬৭ গ্রাম। আটক করা স্বর্ণের মূল্য ২ কোটি ৭৮ লাখ ভারতীয় রুপি।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, সোনাসহ ট্রাকচালককে আটক করা হয়। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। ওই পাচারকারীর নাম সুশঙ্কর দাস। তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই ট্রাকচালক জানিয়েছেন, তিনি ১৫ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছেন। ট্রাকমালিক সফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরার বাসিন্দা বলেও জানিয়েছেন তিনি। ওই মাছ কলকাতার বাবা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি সংস্থাকে হস্তান্তর করার কথা ছিল। অভিযুক্তকে স্বর্ণের বিস্কুট এবং ট্রাকসহ পেট্রাপোলের শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। এ ব্যাপারে পেট্রাপোল থানায় একটি মামলা হয়েছে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03