জনসনের পাউডার থেকে ক্যান্সার, বিপুল অর্থ দিয়ে নিষ্পত্তির চেষ্টা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২৩, ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় জনসন অ্যান্ড জনসনের পাউডার। তবে এই পাউডারে সম্ভাব্য ক্ষতিকারক উপাদান নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত তাদের পাউডার ব্যবহারে ক্যান্সার হচ্ছে এমন অভিযোগ সামনে আসার পর বিশ্বের অন্যতম এই জনপ্রিয় ব্র্যান্ডকে বাজার থেকে অনেকটা সরিয়ে নেওয়া হয়।

এছাড়া দীর্ঘসময় ধরে মামলা চলছে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির বিরুদ্ধে। আর তাই এবার বড়ো অংকের অর্থ দিয়ে পুরো ব্যাপারটা নিষ্পত্তি করতে চাইছে জনসন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির পাউডার নিয়ে কয়েক বছর ধরেই বিতর্ক চলছে। ওই পাউডারে অ্যাসবেস্টসের নমুনা পাওয়া গেছে। অ্যাসবেস্টস শিশুর শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এর সংস্পর্শে এলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এমন অভিযোগেই চলছে বিতর্ক।

এ সংক্রান্ত মামলাগুলো নিষ্পিত্তি করতে ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৯৩ হাজার ৭৫৪ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি-ভিত্তিক এই সংস্থাটির দাবি, দেউলিয়া আদালত যদি তাদের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় তাহলে এর মাধ্যমে ‘প্রসাধনী ট্যালক মামলা থেকে উদ্ভূত সকল দাবি ন্যায়সঙ্গতভাবে এবং দক্ষতার সাথে সমাধান হবে’।
অবশ্য যদি শেষ পর্যন্ত জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির এই দাবি অনুমোদন পায়, তাহলে তা হবে মার্কিন ইতিহাসে কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম বৃহৎ অংকের সমঝোতা।

এএফপি বলছে, ওভারিয়ান ক্যান্সারের জন্য দায়ী অ্যাসবেস্টসের চিহ্ন ধারণকারী ট্যালকম পাউডার নিয়ে জনসন অ্যান্ড জনসন হাজার হাজার মামলার সম্মুখীন হয়েছে। মার্কিন এই প্রতিষ্ঠানটি অবশ্য কখনোই তাদের ভুল স্বীকার করেনি। তবে ২০২০ সালের মে মাসে তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় তাদের ট্যালক-ভিত্তিক বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।

জনসন অ্যান্ড জনসনের মামলা-মোকাদ্দমা সংক্রান্ত সংক্রান্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক হাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই ধরনের দাবি বা অভিযোগগুলোর সুনির্দিষ্ট ও বৈজ্ঞানিক যোগ্যতার অভাব রয়েছে বলে কোম্পানির অবিরত বিশ্বাস রয়েছে।’

অবশ্য ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে পুরো ব্যাপারটা নিষ্পত্তির প্রস্তাব কতটা ফলপ্রসূ হবে তা এখনও জানা যায়নি। জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আদালতের আদেশ মেনে নেওয়া হবে। এছাড়া সমানে আসা অভিযোগের ক্ষতিপূরণ দিতেও কোম্পানি তৈরি। এবার এটি নিষ্পত্তি করা হোক।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...