বিএনপি নির্বাচনে এলে এখানে হয়ত একটা ভালো ফাইট হতো : মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৩, ৮:০১ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন লেছেন, সিলেটে নেমেই আমি বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি। বুঝেছি আগামী ২১ জুন জনগন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকেই বেছে নিবেন। আর যদি তা হয় তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তিনি আমাদের স্মার্ট সিলেট উপহার দিবেন। দেশে-বিদেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করলে তিনি অবশ্যই স্মার্ট সিলেট উপহার দিতে সক্ষম হবেন। সিলেটে অন্যান্য যারা মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন তাদের চেয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী অনেক ভালো প্রার্থী।

মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে সিলেটের সর্বস্থরের স্বাস্থ্য সেবী ও ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে এখানে হয়ত একটা ভালো ফাইট হতো। কিন্তু তারা আসেনি। তাই বলে আমাদের বসে থাকার সুযোগ নেই। কাজ করতে হবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনে আমি দেখেছি, জামায়াত বিএনপির প্রার্থী না থাকলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছে এবং অল্প ভোটের ব্যবধানে তারা তা করতে সক্ষম হয়েছে। এখানেও এমনটি হতে পারে। তাই ডাক্তার নার্স ব্রাদারদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আর তাহলেই আনোয়ারের পক্ষে জয় আসবে। সবাইকে নির্বাচনের দিন নৌকা প্রতিকে প্রত্যেকের ভোট নিশ্চিত করতে হবে। সাথে সাথে সাধারণ মানুষও যাতে নৌকায় সহজে ভোট দিতে পারেন সে ব্যাপারে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাহলেই জয় নিশ্চিত হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, সিলেটের উন্নয়নের প্রশ্নে আপস করবো না। জীবন দিয়ে হলেও সিলেটের মানুষের জন্য আমৃত্যু কাজ করে যাবো।

তিনি আরও বলেন, সরকার স্বাস্থ্যখাতকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।সরকার সবচেয়ে সাফল্য অর্জন করেছে মহামারি করোনাকালীন সময়।যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনা ভ্যাকসিন নিতে পারেনি।তখন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এদেশের প্রতিটি অঞ্চলে করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়া হয়েছে।আর করোনাকালের সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের নাম সবার প্রথম আসে।কারণ জীবন বাজি রেখে তারা মানুষকে সেবা দিয়েছেন।তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমাদের দেশের কিছু সংখ্যক চিকিৎসক-কর্মচারীর ব্যবহারে লোকজন কষ্ট পেয়ে থাকেন।রোগীদের সাথে ভালো ব্যবহার করে তাদের সেবা নিশ্চিত করা উচিত।

সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপতাল হচ্ছে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপতাল উল্লোখ করে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চারটি জেলার মানুষ আসেন।তারা পর্যাপ্ত চিকিৎসা যাতে পান সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।একটা বিষয় আমাদের প্রায় শুনতে হয় ওসমানী হাসপাতালে রোগী ও তাদের স্বজনরা নানা রকমের দুর্ভোগের শিকার হয়ে থাকেন।যা মোটেই কাম্য নয়।দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে এমন হলে হাসপতালে দুর্নাম হবে।সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। ওসমানী হাসপতালের স্বাস্থ্য সেবা যাতে বাড়ানো যায় আমি সে বিষয়ে উদ্যোগ নেবো এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো।প্রয়োজন হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করবো।

সভায় বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা.মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরীর সভাপত্বিতে ও ডা. রকিবুল হাসান জুয়েলের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

প্রধান ব্ক্তার বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেচ্ছা হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা.রোকেয়া সুলতানা,সাংগঠনিক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানসহ নেতৃবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...