সব
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:,
‘হুগলিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। নামেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ডাক্তার নেই, সেবা নেই। ডাক্তার নাকি গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। চারিদিকে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। সুনশান নিরবতা। সাইনবোর্ড না থাকলে কারো বোঝার উপায় নেই, যে এটি একটি সরকারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র। এসব কারনে রোগীর আনাগোনাও নেই বললেই চলে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৪নং সিন্দুরখান ইউনিয়নের হুগলিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিন যাবৎ কোন মেডিকেল অফিসার নেই। কাগজে কলমে হুগলিয়ায় ডাক্তার নিয়োগ থাকলেও অজ্ঞাত কারণে উক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তাররা যান না। এ নিয়ে সিভিল সার্জন মৌলভীবাজার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. সাখাওয়াৎকে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে বার বার অনুরোধ জানালেও অদ্যাবধি কোন ডাক্তার ঐ এলাকায় যাননি। হুগলিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন প্রায় ১৫০জন রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্ত ডাক্তার না থাকার কারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীরা সহকারী ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। সহকারি ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা পুনরায় শ্রীমঙ্গল শহরে এসে চিকিৎসা নিতে হয়। অভিজ্ঞ ডাক্তার না থাকার কারণে গরীব রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, সহকারি ডাক্তার সপ্তাহে দুদিন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান বাকী দিনগুলো অফিস পিয়ন দিয়ে দরজা খোলে বসে থাকে। মুমর্ষ রোগীরা ডাক্তার না পেয়ে বাধ্য হয়েই শ্রীমঙ্গল শহরে আসতে হয়।
সম্প্রতি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায় ৬ দিন যাবৎ সহকারি ডাক্তারও আসছেন না। পিয়ন জানায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহকারি ডাক্তারকে পাঠানো হয়েছে। তাই এসে বসি থাকি রোগী আসলে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। একটি জনবহুল এলাকায় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার নিয়োগ না দিয়েই অন্যত্র প্রেরণ করা কতটুকু যুক্তিসংগত তা জনগণের চিন্তা ধারার বাইরে। সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ডাক্তার কিংবা নার্স কর্মক্ষেত্রে না থাকলে তাৎক্ষনিক ছাটাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ নি:সন্দেহে জনগণের মনে আশার আলো জাগিয়েছে। ডাক্তার আসবে গরীবরা চিকিৎসা পাবে। শ্রীমঙ্গলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকেও উপেক্ষা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ চেষ্টা করা কলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03