বেলারুশের সঙ্কট সমাধানে বিদেশি মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ১৬ আগস্ট ২০২০, ৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ

বেলারুশে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বিদেশিদের মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। তবে শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে এ সঙ্কট দ্রুতই সমাধান হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

গত সপ্তাহের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের মতে, এ নির্বাচন মোটেও সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই স্বৈরশাসক লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছে দেশটির হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভ দমনে বেলারুশ সরকার অভূতপূর্ব বলপ্রয়োগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। বিক্ষোভের ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত একজন প্রাণ হারিয়েছেন, গ্রেফতার হয়েছেন ছয় হাজারেরও বেশি।

শনিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে লুকাশেঙ্কো শপথ করে বলেছেন, দেশটিকে তিনি কারও হাতে তুলে দেবেন না। বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সংবিধান অনুসারে আমাদের একটি স্বাভাবিক সরকার রয়েছে। আমাদের কোনও বিদেশি সরকার দরকার নেই, মধ্যস্থতার দরকার নেই।’

এদিকে, ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আগুন প্রতিদিনই বাড়ছে। শুক্রবার হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বেলারুশের রাজধানীতে। শনিবারও মিনস্কের পুশকিন স্কয়ারে জড়ো হয়ে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

বিতর্কিত ওই নির্বাচনী ফলাফল বলছে, ৮০ দশমিক ২৩ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ২৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা লুকাশেঙ্কো। অন্যদিকে, তার প্রধান বিরোধী সভেৎলানা তিখানোভস্কায়া পেয়েছেন মাত্র ৯ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।

অথচ জনসমর্থনের দিক থেকে বহুগুণে এগিয়ে রয়েছেন সভেৎলানা। তার সমর্থকদের দাবি, স্বৈরাচার লুকাশেঙ্কোকে ক্ষমতায় রাখতে নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতি এবং জালিয়াতি করা হয়েছে। ‘অনেস্ট পিপল’ নামে একটি স্বাধীন পর্যবেক্ষক গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের কাছে থাকা তথ্যমতে, সভেৎলানা অন্তত ৮০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন। এ কারণে অনেকেই এখন ভোট পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছেন।

নির্বাচনে কারচুপি ও ব্যাপক ধরপাকড়ের প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র বেলারুশের স্বৈরাচারী সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে চীন-রাশিয়ার মতো স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলো ঠিকই সমর্থন জানিয়েছে লুকাশেঙ্কোকে।

সূত্র: সিএনএন, আল জাজিরা

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...