সুদানে বৃষ্টি-বন্যায় কমপক্ষে ৬৫ প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২০, ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

মৌসুমী বৃষ্টি এবং এর ফলে সৃষ্ট বন্যায় উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে কমপক্ষে ৬৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ১৪ হাজার বাড়িঘর বন্যার তোড়ে ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৩০ হাজার ৪০০টি। এ ছাড়া আনুমানিক ৭৭০টি গবাদি পশু মারা গেছে। রোববার বিবৃতি দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ওই বিবৃতির বরাতে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সুদান নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, টানা ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যার কারণে পূর্বাঞ্চলীয় গাদারিফ প্রদেশের দুটি স্বর্ণখনিতে আটকা পড়েছেন প্রায় দুই হাজার খনিশ্রমিক।

হর্ণ অব আফ্রিকা খ্যাত নীল নদ অববাহিকায় অবস্থিত সুদানে প্রতিবছর জুন মাস থেকে বর্ষাকাল শুরু হয়ে তা অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির রাজধানী অঞ্চল খার্তুম, ব্লু নীল এবং রিভার নীল স্টেট। বন্যা দেখা দিয়েছে গেজিরা, গাদারিফ, ওয়েস্ট খার্তুম এবং সাউথ দারফুর অঞ্চলেও।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী সুদানে মানবিক সহায়তা সমন্বয়কারী জাতিসংঘের কার্যালয় থেকে দেওয়া হিসাবে জানানো হয়েছে, এবারের বন্যার কারণে সুদানে দেশজুড়ে কমপক্ষে ১৪টি স্কুল ধসে পড়েছে এবং হয় দূষিত নয়তো অকার্যকর হয়ে পড়েছে দেশটির এক হাজার ৬০০ এর বেশি বিশুদ্ধ পানির উৎস।

ব্লু নীল প্রদেশের বৌট নদীর কূল ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাঁধের কারণে বন্যার আগে থেকে এলাকাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বন্যার পানিতে ভেসেই জীবনযাপন করতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষজনকে। এ ছাড়া দুর্বল স্যানিটেশন এবং উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাবের শঙ্কাও করা হচ্ছে।

দেশটির আবহাওয়া দফতর আরও শঙ্কার খবর দিয়েছে। চলতি আগস্টের বাকি দিন এবং আগামী সেপ্টেম্বরেও দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সংস্থাটির পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। দুর্বল অবকাঠামো এবং সরকারি অব্যবস্থাপনার কারণে সুদানে প্রতিবছর বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...