বন্যায় এ পর্যন্ত ১২,৮৪৮ টন চাল বিতরণ করেছে সরকার

সাম্প্রতিক অতিবর্ষণজনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩৩টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৮৪৮ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

সরকারের পক্ষ হতে বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনসমূহ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে চার কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ৮৮ লাখ ৮১ হাজার ৭০০ টাকা। শিশুখাদ্য সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এক কোটি দুই লাখ ৭ হাজার ১০৬ টাকা। গোখাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ দুই কোটি ১৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ৮৪২ প্যাকেট।

এছাড়াও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪০০ বান্ডিল এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহমঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।

বন্যাকবলিত জেলাসমূহ হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ।

বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৬০টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা এক হাজার ৫১টি। পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৭টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫০ লাখ ১৪ হাজার ৩২৩ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৪ জন।

বন্যা কবলিত জেলাসমূহে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৭৪টি। আশ্রয়কেন্দ্র সমূহে আশ্রিত লোক সংখ্যা ২৭ হাজার ৪৭৯ জন। আশ্রয়কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৬৪ হাজার ৭৯৬টি। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৮৭৩টি এবং বর্তমানে চালু আছে ২৪৯টি।

[১] [২] [৩]