চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মসূচিতে হামলা, সাংবাদিকসহ আহত ২০

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলা করেছে বাঁশখালীর সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারিরা।

এতে সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধাসহ সহ অন্তত ১৫ থেকে ১২ জন কম বেশি আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এমপির অনুসারী হামলাকারী দুজনকে আটক করেছে।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এমপি মোস্তাফিজুর রহমানের এপিএস ও বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র সেলিম উল হকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের উপর এ ন্যাক্কারজন হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান হামলায় আহত চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ জানান।

হামলায় আহত অন্যান্যরা হলেন-মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মোজ্জাফফর আহমদ, বাঁশখালী কমান্ডার আবুল হাশেম, সাতকানিয়া কমান্ডার আবু তাহের মুক্তিযোদ্ধা আজিমুল ইসলাম ভেদু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অর্থ আবদুর রাজ্জাক,চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সা. সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ চৌধুরী,মৌলভী সৈয়দের ভাতিজা জয়নাল আবেদীন, জহির উদ্দীর মোা. বাবর, ইমরানুল ইসলাম তুহিন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু সাদাত মো. সাইয়েম, মোব্বাশের হোসেন সোহান, কামরুল হুদা পাভেল সহ ১০ থেকে ১২ জন ফটো সাংবাদিক।

আহত সাংবাদিক ফরিদ বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেয়। হঠাৎ এমপির লোকজন মিছিল নিয়ে এসে লাঠি সোটা দিয়ে পিঠিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন মৌলভী সৈয়দ আহমদের ভাতিজা, দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবর বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী গেরিলা কমান্ডার মৌলভী সৈয়দ আহমদের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা আলী আশরাফের মৃত্যুর পর ‘গার্ড অব অনার’ না দেয়ার প্রতিবাদ এবং ওই পরিবারকে নিয়ে এমপির নানামুখি ষড়যন্ত্র মৌলভী সৈয়দ আহমদ পরিবারের সদস্য সাংবাদিক ফারুক আবদুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে আজকের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মানববন্ধনের আয়োজন করলে এমপির পেঠুয়া বাহিনী এ হামলা চালায়।

[১] [২] [৩]