এবার উপবৃত্তি থাকবে, বৃত্তি থাকবে না — প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

প্রতিবছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি দেওয়া হলেও এবার সমাপনী বাতিল হওয়ায় বৃত্তি দেওয়া হবে না। তবে প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তি কার্যক্রম আগের মতো চালু থাকবে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠানো হবে। উপবৃত্তি থাকবে। বৃত্তিটা থাকবে না।’ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘সমাপনী পরীক্ষার ভিত্তিতে যে বৃত্তি দেওয়া হয় সেটা এ বছর দেওয়া সম্ভব হবে না। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবার হচ্ছে না।’

প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৮২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৩৩ হাজার জনকে ট্যালেন্টপুলে এবং ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়।

ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হয়। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পায়। অর্থাৎ এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী ৩ বছরে সরকারের প্রায় ৮০ কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা ছিল।

আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হলেও ২০১০ সালে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে উপজেলাভিত্তিক মেধাবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে মাসে ৭৫ টাকা এবং প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসে ১৫০ টাকা করে উপবৃত্তি দেওয়া হয়।

এছাড়া যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি খোলা হয়েছে সেসব বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসে ২০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এই উপবৃত্তি শিক্ষার্থীরা আগের মতোই পাবে।

 

[১] [২] [৩]