সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টসহ সব ধরনের নতুন পাসপোর্ট ইস্যুর কাজ। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এতে সাধারণ মানুষের নতুন পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে। তবে দীর্ঘদিন থেকেই নির্ধারিত সময়ে নতুন পাসপোর্ট পাচ্ছেন না আবেদনকারীরা।
ঢাকাসহ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসে এরইমধ্যে নতুন পাসপোর্টের জন্য দুই লাখেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে আছে। এরই মধ্যে গত ২৩ মার্চ থেকে কর্তৃপক্ষ দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর নতুন পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণের সব ধরনের কাজ বন্ধ করে দেয়। তবে ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে অফিস কার্যক্রম চালুর পর শুধু রি-ইস্যু পাসপোর্ট বিতরণ শুরু করা হয়েছিল।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন ও রি-ইস্যু পাসপোর্টের নিবন্ধর কার্যক্রম সীমিত পরিসরে (মোট সক্ষমতার ৪০ ভাগ সেবা) চালু করা হবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তীতে এই সেবার মান বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। আবেদনকারীদের মধ্যে ইতোমধ্যে যাদের ছবি ও হাতের ছাপ নেয়ার জন্য এপয়েনমেন্ট দেয়া হয়েছে তারা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনলাইনে এপয়েনমেন্ট করতে পারবেন। এছাড়া ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ও পুরাতন আবেদনকারীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আবেদনকারীদের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে বুকিং দেয়া শুরু করা হবে। নতুন ও পুরাতন আবেদনকারীর জন্য নির্ধারিত থাকবে ৫০ ভাগ কোটা।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আরও জানান, নতুন পাসপোর্টের আবেদন জমা নেয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মীরা। কারণ আবেদনকারীকে পাশে নিয়ে আঙ্গুলের ছাপ নিতে হয় এবং ছবি তুলতে হয়। এটা করতে গিয়ে দায়িত্বরত যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। সেজন্যই এতদিন এটা বন্ধ থাকলেও এখন থেকে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটা করা হবে।
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অবশিষ্ট ২৫টি রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসে (আরপিও) ধাপে ধাপে (প্রতি সপ্তাহে পাঁচটি করে) ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা হবে। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম দফায় গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, নোয়াখালী ও ফেনীতে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম শুরু হবে। দ্বিতীয় দফায় মুন্সীগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে চালু করা হবে। তৃতীয় দফায় যশোর, খুলনা, কুমিল্লা, কুস্টিয়া, ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় চালু করা হবে। চতুর্থ দফায় চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া ও রংপুরে এবং পঞ্চম দফায় দিনাজপুর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, বরিশাল ও পটুয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরোদমে নতুন ইস্যু ও রি-ইস্যু পাসপোর্টের কার্যক্রম চলবে। এতে পর্যায়ক্রমে পাসপোর্ট পাবেন আবেদনকারীরা। ফলে পাসপোর্ট পাওয়ার দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটবে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03