সব
প্রযুক্তি ডেস্ক,
জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক-এর মার্কিন শাখাটিকে কিনে নেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, এবং এতে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে রিটেইল জায়ান্ট ওয়ালমার্ট। ওয়ালমার্টের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, টিকটক-এর সাথে যুক্ত হতে পারলে তাদের ব্যবসাও বাড়বে। মার্কিন সরকার টিকটিক-এর যুক্তরাষ্ট্র শাখাটিকে আমেরিকান-মালিকানায় থাকা কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করার জন্য ৯০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, টিকটক তার গ্রাহকদের সব তথ্য চীন সরকারের হাতে তুলে দেয়। তবে টিকটক এসব অভিযোগ সবসময় অস্বীকার করে আসছে। টিকটকের বিক্রি নিয়ে আলোচনা চলছে একথা নিশ্চিত করে ওয়ালমার্টের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন: “আমাদের বিশ্বাস ওয়ালমার্ট এবং মাইক্রোসফটের মধ্যে পার্টনারশিপ হলে একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারীদের যেমন আশা পূরণ হবে তেমনি মার্কিন সরকারকেও সন্তুষ্ট করা যাবে।”
বৃহদায়তন প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফট গত অগাস্ট মাসেই ঘোষণা করে যে তারা টিকটকের বিক্রি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। মাইক্রোসফট এবং ওয়ালমার্ট এক হয়ে টিকটক কেনার জন্য আরেকটি প্রযুক্তি কোম্পানি ওরাকলের সাথে প্রতিযোগিতা করছে। ওদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল পত্রিকা খবর দিয়েছে যে সোশাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটারও টিকটক কেনার চিন্তাভাবনা করছে। যতদূর জানা যাচ্ছে, টিকটকের মার্কিন শাখার দাম তিন হাজার কোটি ডলার উঠতে পারে।
টিকটকের বিশ্বব্যাপী ব্যবসার সূচনা ২০১৮ সালে। তারপর থেকে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত হারে বেড়েছে। যাদের বয়স ২৫-বছরের নিচে তাদের মধ্যে টিকটক-এর বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।
টিকটক-এর ঝুঁকি কোথায়?
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন সরকার বলছে, টিকটক-এর মালিক চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটা বড় হুমকি। আমেরিকানদের অভিযোগ, টিকটক তার ৮০ কোটি ইউজারের কাছ থেকে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক-র গ্রাহক রয়েছে ১০ কোটি। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, চীন সরকার এসব তথ্য হীন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে।
ভারতের মোদী সরকারও সে দেশে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে। তারাও অভিযোগ করছে, টিকটক গোপনে চীনের কাছে তথ্য পাচার করে। তবে বেইজিং সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এবং বলে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণ রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক নয়।
এখন মার্কিন কোম্পানির কাছে ব্যবসার একাংশ বিক্রির প্রশ্নে বাইটড্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিন নিজেও সমালোচনার শিকার হয়েছেন। কোম্পানির চীনা স্টাফদের কাছে এক চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক-এর ব্যবসা ধরে রাখতে হলে এছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। তবে শুধু টিকটক না, চীনা মালিকানার মেসেজিং অ্যাপ উইচ্যাটের বিরুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03