যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪

যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় লরার প্রভাবে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ওই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ১০ জন এবং টেক্সাসে চারজন প্রাণ হারিয়েছে।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা ঝড়টি চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। শক্তিশালী এই ঝড়ের আঘাতে লেক চার্লস এলাকায় বহু বাড়ি-ঘরের ছাদ উড়ে গেছে, কাঁচের দরজা জানালা ভেঙে পড়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫০ মাইল বা ২৪০ কিলোমিটার। এতে ব্যাপক-ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের আঘাতে লুইজিয়ানা ও টেক্সাসের অন্তত ২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জরুরি ভিত্তিতে ফেডারেল সরকারকে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ডস।

শনিবার লুইজিয়ানা এবং টেক্সাস পরিদর্শন করার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

রেড ক্রস জানিয়েছে, ওই দুই অঙ্গরাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে প্রায় ৮ হাজার বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লোকজনকে উদ্ধার ও সহযোগিতা করতে ন্যাশনাল গার্ডের প্রায় ১৫শ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

লরা এখন কিছুটা শক্তি হারিয়েছে। তবে বিভিন্ন রাজ্যে এই ঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত চলছেই। এদিকে, হাইতিতে ঘূর্ণিঝড় মার্কো এবং লরার আঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

[১] [২] [৩]