২১ বছর বয়সেই সফল ডিজিটাল মার্কেটার মুরসালীন

ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্যের প্রমোশন করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ইনফ্লুয়েন্সার্ মার্কেটিং- এসবই ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। চাকরির বাজার এখন বড়ই কঠিন। প্রথাগত চাকরির বাজারে ছুটতে ছুটতে জীবনের অর্ধেক সময়টাই পার হয়ে যায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের। তাই বর্তমান সময়ে তাল মিলাতে চাইলে প্রথাগত চিন্তাভাবনা ছেড়ে ভাবতে হবে নতুন কিছু। এই দিক থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি সম্ভাবনাময় পেশা।

বাংলাদেশের এই একজন, নাম মোঃ মুরসালীন আহমেদ। মাত্র ২১ বছর বয়সেই তিনি সফল ডিজিটাল মার্কেটার। তিনি শৈশব কাল থেকেই নতুনত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা নিয়ে মগ্ন থাকতে ভালবাসত। তার কঠিন পরিশ্রম ও লক্ষ্য আজ সফলতার দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আজ তিনি সফল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছেন। আজ তার উদ্যোগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিতে একটি দুর্দান্ত স্থানে অবস্থান করছে। তিনি শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে নয় তিনি একজন সফল ব্লগার এবং ভার্চুয়াল উদ্যোক্তা। তিনি তার অসীম চেষ্টায় সফলতা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছেন।

অল্প বয়স থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শুরু করে মোঃ মুরসালীন। তার নিজের প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্ল্ড ইন বাংলাদেশ’। তার এই প্রতিষ্টানের কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত ফেসবুকের জন্য কন্টেন্ট তৈরীর কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির হয়ে কনটেন্ট প্রজেকশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করেন তারা।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিং কে বিশাল একটি সম্ভাবনা ক্ষেত্রে বলে মনে করেন এই তরুণ। তিনি জানালেন, দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এই সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু অজ্ঞতা নিয়ে বারবার শুধু অসফলতার দিকেই আসতে হয়। এর জন্য সবার প্রথমে দক্ষতা বাড়াতে হবে। এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার। কি ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে লাখো মানুষ সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কনটেন্ট তৈরি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান মোঃ মুরসালীন আহমেদ। আবার অনেকেই ভাল কনটেন্ট তৈরি করেও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের জন্য সবসময় কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখেন মুরসালীন আহমেদ। নিজের ক্যারিয়ার শুরুতে পার করেছেন অনেক ধরনের বাধা বিপত্তি। তাই ডিজিটাল দুনিয়ার কাজ করতে আসা তরুণরা যেন বাধার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য মুরসালীন আহমেদ চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজ জায়গা থেকে।

এছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি ব্লগিং করেন। মোঃ মুরসালীন আহমেদ বিশ্বাস করেন যে পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সমাজকে পরিবর্তন করা সম্ভব। তিনি বুঝিয়েছেন যে সত্য ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে এই সমাজে মিথ্যা কে ঢেকে দেয়া সম্ভব।

একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে মোঃ মুরসালীন আহমেদ বিশ্বাস করেন সফলতার কোন শর্টকাট পথ নেই। মানুষ নিজের সততা, একাগ্রতা, কাজ এবং পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়ে উঠে। যেখানে মানুষের কাজের কোনো সত্যতা নেই সেখানে কাজের প্রকৃত সম্মান পাওয়া যায় না। এবং প্রকৃত সফলতা পাওয়া যায় না। তাই প্রতিটি মানুষের সততা ঠিক রেখে কাজ করা উচিত। পরিশ্রম মানুষকে সফলতার চূড়ায় নিয়ে যায়। সততাকে সঠিক রেখে ধৈর্য কে পাশে রেখে পরিশ্রম করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া একান্ত কাব্য।

এদিকে মুরসালীন আহমেদ সবাইকে একটি কথা বলেন নিজের ইচ্ছার বাহিরে কোন কাজ করতে যেও না এতে তোমার অসাফল্য আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে।তুমি তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রমকে ছোট করে লক্ষ্য কে বড় করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তোমার নিজেকে আবিষ্কার করো। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত কর সবার মাঝে কঠোর পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি। মোঃ মুরসালীন আহমেদ-এর এর বাণী গুলো প্রতিটি তরুণকে জাগ্রত করে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে।

মোঃ মুরসালীন আহমেদ এর কাছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান এগোতে হবে বহুদূর। তিনি বুঝিয়েছেন যে আমরা যে অবস্থায় থাকি না কেন সকলেরই একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে ততক্ষণ পর্যন্তই থামবো না যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি আমার সফলতার চূড়ায় না পৌছাই। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শুরু করে

মোঃ মুরসালীন আহমেদ এর তরুণ বয়সের সফলতা আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয় চেষ্টা মানুষকে সব পেতে সহায়তা। মুরসালীন আহমেদ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের প্রতিটি তরুণদের মুরসালীন আহমেদকে দেখে শিক্ষা নেয়া উচিত যে, মানুষ চেষ্টা করলে সবই সম্ভব যেখানে কোনো বয়স বলতে কোনো কথা নেই।

[১] [২] [৩]