সিনহা হত্যা: চতুর্থ দফায় রিমান্ডে ওসি প্রদীপ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চতুর্থবারের মতো একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

সোমবার বেলা দুইটার দিকে র‌্যাবের একটি দল তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) আদালতে তোলে।

এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলাম অধিকতর তথ্যের স্বার্থে আরও একদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক তামান্না ফারাহ একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রদীপকে নিজেদের হেফাজতে নেয় র‌্যাব।

এর আগে প্রদীপকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

গত শুক্রবার (২৮ আগস্ট) একই আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক (বরখাস্ত) লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। এ সময় তার সাথে থাকা ক্যামেরাম্যান সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে পুলিশ। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। দুজনই এখন জামিনে মুক্ত।

খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। এরপর সাত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়।

সিনহা হত্যার পর পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন এপিবিএন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এলিট ফোর্সটি। এতে মামলার মোট আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩ জনে।

একই ঘটনায় টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পরে আরেকটি মামলা হয়। এ পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা হয়েছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...