“দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারীদের”

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএনও ওয়াহিদা খানম এবং তার বাবাকে দুর্বৃত্তরা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে। ঘোড়াঘাটের ইউএনও’র সরকারি বাসভবনের দোতলার ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। তাকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকৎসা দেওয়া হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল কিন্তু তারা মুখোশ পরা ছিল। যে দুজন দুর্বৃত্ত, তাদের মুখে মুখোশ ছিল এবং সেগুলো দেখে পর্যালোচনা চলছে, ওখানে হাই পাওয়ার টিম কাজ করছে। পুলিশের চৌকশ একটি টিম কাজ করছে। তারা আশাবাদী যে খুব দ্রুত আমাদের জানাতে পারবেন কারা এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি।’

 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিহা খানমকে সব থেকে ভালো চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যেন যায় সে চেষ্টা করছি, এক্ষেত্রে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল সব থেকে ভালো। যা যা করা প্রয়োজন আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সেটি করছি। একটু অপেক্ষা করতে হবে দুর্বৃত্তরা কারা। তারা কী ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছিল নাকি উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো কারণে শত্রুতা তৈরি হয়ে এ রকম কিছু হয়েছিল কি-না। আমি ডিসিকে ডিজ্ঞেস করেছি শত্রুতাবশত এ রকম কিছু হয়েছিল কিনা, তিনি বলেছেন, এ ধরনের কোনো কিছু অবহিত করেননি। আশা করি আমরা সিটিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে, তার পিতাও কিন্তু আহত, শত্রুতাবশত মনে করলে সে একা আক্রান্ত হত। কিন্তু তার পিতাও আক্রান্ত হয়েছেন। ডাকাতির উদ্দেশ্যে বা এ রকম কিছুও হতে পারে। আমরা অপেক্ষা করছি, অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে আশা করি জটটা খুলবে এবং আমরা অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তার তিন বছর বয়সী একটি সন্তান আছে, সে অক্ষত এবং স্বামী রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকায় ইউএনও। ’

 

পারিবারিক শত্রুতা কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পারিবাহিক শত্রুতা মনে হচ্ছে না, তবে তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমরা জিজ্ঞাস করেছি, কোনোকিছু খোয়া গেছে কিনা, এখনও জানা যাচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টির চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে।’

[১] [২] [৩]