বিশ্বসেরা ১০–চিন্তাবিদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি!

ব্রিটিশ সাময়িকী প্রসপেক্টের ৫০ চিন্তাবিদের মধ্যে শীর্ষ ১০–এ স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। তিনি ১০ জনের মধ্যে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। ২ সেপ্টেম্বর প্রসপেক্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ভোটাভুটির মাধ্যমে ৫০ থেকে শীর্ষ ১০ জনের নির্বাচিত হওয়ার কথা জানানো হয়। এ তালিকায় শীর্ষ স্থান পেয়েছেন ভারতের কেরালা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা।

 

প্রসপেক্ট গত ১৪ জুলাই ৫০ জন সেরা চিন্তাবিদের তালিকা প্রকাশ করে। তখন সাময়িকীতে বলা হয়, ব্যবহারিক ধারণা ও চিন্তা সম্পর্কে অজানা প্রশ্নের উত্তর দিতে মানুষের মধ্যে উপলব্ধি তৈরির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই।

জুলাইয়ের ৫০ জন নির্বাচিত করার পর আবার শীর্ষ ১০ বাছতে ২০ হাজার ভোট গ্রহণ করা হয়। সেখানে তৃতীয় স্থান পাওয়া মেরিনা তাবাসসুম সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘তিনি মনোনিবেশ করেছেন এক বাস্তব সমস্যার দিকে। আর সেটি হলো জলবায়ু পরিবর্তন। এর ফলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে সে উপযোগী ঘরবাড়ি তৈরির নকশা করেছেন।’

 

ঢাকার দক্ষিণখানে বায়তুর রউফ নামের একটি শৈল্পিক নকশার মসজিদের জন্য ২০১৮ সালে স্থপতি হিসেবে জামিল প্রাইজ পান মেরিনা তাবাসসুম। এর আগে একই নকশার জন্য ২০১৬ সালে তিনি সম্মানজনক আগা খান পুরস্কার পান। সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে নকশাকৃত এ মসজিদ ২০১২ সালে ঢাকায় নির্মিত হয়।

 

এবার প্রসপেক্টের তালিকায় শীর্ষ ১০–এ থাকা প্রথমজন কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা কোভিড-১৯ থেকে রাজ্যের মানুষের সুরক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। ভারতের কেরালা সংক্রমণ রোধে বৈশ্বিক স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই জানুয়ারিতে চীনে যখন সংক্রমণ প্রবল হচ্ছে, তখনই নিজ রাজ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন ‘টিচার’ নামে পরিচিতি এই মন্ত্রী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ‘পরীক্ষা, শনাক্ত ও বিচ্ছিন্ন’ করার নীতির ওপর ভিত্তি করে সংক্রমণ রোধে কাজ শুরু করেন। এর ফলও পান। এই কোভিড-১৯–এর সংক্রমণ রোধে এখন পর্যন্ত সফলতা দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আছেন দ্বিতীয় স্থানে।

বাংলাদেশের মেরিনা তাবাসসুমের পর আছেন আফ্রিকান-আমেরিকান দার্শনিক কোরনেল ওয়েস্ট, ব্রাজিলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ইলোনা জ্যাবো দে কার্ভালহো, ইতিহাসবিদ ওলিভেট ওটেলে, মার্কিন ভূগোলবিদ রুথ উইলসন গিলমোর, বেলজিয়ামের দার্শনিক ফিলিপ্পে ফন প্যারিস, নেদারল্যান্ডসের শিক্ষাবিদ মার্ক পোস্ট ও পোলিশ-ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী ম্যাগডালিনা জারনিকা গোয়েৎস।

 

[১] [২] [৩]