বিতর্কিত ব্রেক্সিট বিলে মার্কিন ও ইইউর চাপের মুখে ব্রিটেন!

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার ব্রিটেনকে বিতর্কিত ব্রেক্সিট আইন বাতিল করতে বলেছে। অন্যতায় আইনী প্রতিশোধের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকারকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে একটা বাধ্যবাধকতা মূলক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার জন্য দোষারোপ করে দায়ী করেছেন। যেহেতু ব্রিটেনের প্রায় ৫০ বছর যাবৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল এবং তা এখনো মানতে বাধ্য বলে মনে করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেফকোভিচ মারিস। বৃহস্পতিবার লন্ডনে তিনি তা বলেছেন।

জনসন সরকার গত কয়েকদিন আগে যে বিলটি আনেন তা উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্য সম্ভাব্য প্রভাব বিস্তার করবে বলে মনে করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। লন্ডনের জন্য মার্কিন ক্ষমতাধর ডেমোক্রেটিক দলের কংগ্রেস সদস্য ন্যান্সি পেলোসি সতর্ক করেছেন যা ইইউ নেতৃবৃন্দ সামনে নিয়ে এসেছেন। উত্তর আয়ারল্যান্ড বিশেষ সুযোগ-সুবিধা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল তা খর্ব করার জন্য বিল এনেছিলেন গত কয়েকদিন আগে লন্ডন। এর সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জন মেজর, প্রাক্তন দলীয় নেতা মাইকেল হাওয়ার্ড , দলের প্রবীণ সদস্যরা এবং তাদের প্রাক্তন দলনেতা মাইকেল হাওয়ার্ড। লন্ডনে এক বৈঠকে সেফকোভিচ প্রাচীন ব্রিটিশমন্ত্রী মাইকেল গভ কে বলেছিলেন মাসের শেষ নাগাদ এই বিলগুলো প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে ব্রাসের লন্ডনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন।

ইউরোপীয় কমিশন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে ইইউ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে আস্থা গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বিলটি উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্য শান্তি রক্ষা করবে বলে ডাউনিং স্ট্রিটের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়।

লন্ডনের এই বিতর্কিত বিলের মাধ্যমে ব্রিটিশ মন্ত্রীদের ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে একতরফা ক্ষমতা দেওয়া হবে, যখন এই বছরের শেষ দিকে ব্রেক্সিট পরবর্তী উত্তরণের পথে আইন প্রয়োগের মেয়াদ শেষ হবে ইইউর। বিলটি উত্তর আয়ারল্যান্ডের সরকার ও জনগণ পছন্দ করছে না। ১৯৮৯ সালে ৩০ বছরের রক্তপাতের অবসান হয় ‘গুড ফ্রাইডে’ চুক্তি স্বাক্ষর অনুযায়ী। এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সহায়তা করেছিল। তাই বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যরা এই চুক্তিটি মেনে চলার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বৃটেনের প্রতি চাপ প্রয়োগ করছেন!

করোনার মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্তর মধ্যে পড়া ব্রিটেন আগামী দিনগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর আইল্যান্ড বিষয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লে আগামী দিনগুলোতে ব্রিটিশ অর্থনীতি ও পাউন্ডের অবস্থা শোচনীয় হবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...