কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে দ্বিখণ্ডিত করার অভিযোগ

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে অবস্থিত। সাগর সৈকতের টানে ছুটে আসে দেশি বিদেশি পর্যটক। কিন্তু সেই সৈকতকে দ্বিখণ্ডিত করার অভিযোগ ইনানীর হোটেল রয়েল টিউলিপ এর বিরুদ্ধে। সৈকত দ্বিখণ্ডিত করা নিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্ট হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে অবস্থিত তারকা মানের হোটেল রয়েল টিউলিপ কর্তৃপক্ষ সৈকতকে দ্বিখণ্ডিত করার জন্য জিও ব্যাগ ফেলেছে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, সমুদ্র সৈকতে এমন বাঁধ তৈরি করে বঙ্গোপসাগরের স্বাভাবিক স্রোতে জলজ-জীববৈচিত্রের আবাসভূমিতে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের দাবি পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ অবিলম্বে সরিয়ে নেয়া হোক।

পাশাপাশি যারা এসব কাজে জড়িত তাদেরকে পরিবেশের ক্ষতির দায়ে আইনের আওতায় আনা হোক। আর সাগরতীর পরিবেশ সংকটাপন্ন (ইসি) এলাকা হলেও এখানে পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ নিয়ে সাধারাণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের শেষ নেই।

তাদের মতে, পুঁজিবাদ আর পর্যটনের ধোঁয়া তুলে সাগর সৈকত গ্রাস করার পরিকল্পনা বন্ধ করা হোক।

পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি কক্সবাজার (ইয়েস) এর প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে যেকোনও ধরনের জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা শুভকর নয়। তবে ইতোমধ্যে একটি মহল দরিয়ানগর সৈকতে জেটি নির্মাণে চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, সৈকত দ্বিখণ্ডিত করে জেটি নির্মাণ ইতোপূর্বেও আমরা আন্দোলন করে বন্ধ করেছি। এবারও এধরনের কোনও কর্মকাণ্ড হলে আমরা কক্সবাজারবাসীকে নিয়ে তা প্রতিহত করার পাশাপাশি সবাই মিলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে রক্ষা করার আহবান জানান।

এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো.কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার সৈকতে গণবিরোধী কোনও কাজ করতে দেয়া হবে না। সৈকতে জেটি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলাও চলমান বলে জানান তিনি।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...