বিয়ে করার জন্য আগে যে আইনগুলো জানা জরুরি

বিয়ের মাধ্যমেই দুটি হৃদয় মন একটি বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সামাজিক ও পারিবারিক এই বিয়েতে যেমন বর-কনে ও পরিবারের মতামতের প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি আমাদের দেশে রয়েছে সরকারের কিছু আইনও। আর বিয়ের আগে সে আইনগুলো জানা খুবই জরুরি।

তাইতো বিয়ের কথা যারা ভাবছেন, তারা অবশ্যই আগে আইনগুলো জেনে নিন। নইলে পড়তে হবে ভয়নক বিপদে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বিয়ে করার জন্য বর ও কনে পক্ষের দেশে প্রচলিত গুরুত্বপূর্ণ আইন-

বিয়ের সময় আইনে বর্ণিত উপযুক্ত বয়স পাত্রের ২১ এবং কনের ১৮ বছর হতে হবে।এই বয়সের কম হলে ‘বাল্যবিয়ে’ বলে ধরা হবে, যা বেআইনি।

এক পক্ষ বিয়ের প্রস্তাব দেবে, অন্য পক্ষকে তা গ্রহণ করতে হবে। বিয়েতে দু’জন সাক্ষী থাকতে হবে। বিয়ের সময় পাত্র ও পাত্রীর মুখে উচ্চারিত ‘কবুল’ শব্দটি স্পষ্ট হতে হবে এবং উভয়ে কোনো রকম চাপ বা প্ররোচণা ছাড়াই তা স্বেচ্ছায় বলবে।

একই বৈঠকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে। মুসলিম আইনে কোনো পক্ষেরই বিয়ের জন্য কোনো ধর্মীয় কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান বাধ্যতামূলক নয়।

কাবিননামায় স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে পালনের শর্তগুলো থাকবে। স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই তালাকের অধিকার উল্লেখ রাখা। পাত্র-পাত্রীর সামাজিক ও শিক্ষাগত মর্যাদা এবং আর্থিক সঙ্গতি বিবেচনা করে দেনমোহরের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

বিয়ের প্রমাণ কাগজ-কলমে লিখে রাখাই হলো রেজিস্ট্রেশন। এটি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে লিখিত বিয়ে সংক্রান্ত দলিল, যা কাজি অফিসে সংরক্ষিত থাকে।

মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪-এর ধারা-৫(৪) অনুসারে, বিয়ে নিবন্ধন না করলে এর জন্য দুই বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা ৩ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যায়।

অনেক সময় দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা একে অন্যকে ভালোবেসে কোর্ট ম্যারেজ করে। কিন্তু আইনে কোর্ট ম্যারেজ বলে কোনো শব্দ নেই। তাই এমন বিয়ের বৈধতাও নেই, এটি বিয়ের ঘোষণা মাত্র।

[১] [২] [৩]