ঐ ঘরটি

ঐ ঘরটি

শ জ স রুমি হক

আমার ঘরটি আজ অনেক দিন হল এলোমেলো হয়ে আছে
কেউ আর আসে না ও ঘরে
তানপুরাটা ধুলোর বিশাল একটা চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে।
তারগুলো কেমন অচেনা একটা ম্লান সুরে কাতরাচ্ছে – গুঙাচ্ছে ..
আমি ওঘরের দরজাটা খুলে দেখি
ছায়া দুটো যার যার তালে নৃত্যে মগ্ন
থামাতে চাই না, যে যার তালে থাক না
দিনের শেষে, আলোর সাথে এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে
একে ওপরের গায়ে মাখামাখি হয়ে শেষ হয়ে যাবে, সেই আশা

দেওয়ালে শ্যাওলা জমেছ
মাঝে মধ্যে কোথা থেকে ধুধু করে বাতাস এসে পুরো ঘরটা কে তছ নছ করে যায়।
আবার দরজায় দাঁড়িয়ে দেখি
ভাবি- কিভাবে, কোথা থেকে এলো এ ঝড়?

আমি কি আবার যাব? গোছিয়ে রাখবো সব?
নাহ থাক
ছায়া গুলো যে যার মতো থাক
মাঝে মধ্যে বয়ে যাক সে দমকা হাওয়া
করে যাক সব ছিন্ন!
হয়ত সেদিন ওরা যার যার আঁধারে মিলিয়ে যাবে।
এক দিন আর কেউই কাউকে খুঁজবে না
সেদিন আমি ও ঘরের দরজা টা
চিরতরে বন্ধ করে দিতে পারব।

ঠাকুর গুন গুন করতে থাকুক সে তার আনমনে …
“তোমার গীতি জাগালো স্মৃতি নয়ন ছলছলিয়া,
বাদলশেষে করুণ হেসে যেন চামেলি-কলিয়া ॥”

[১] [২] [৩]