সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
করোনাভাইরাসে উপসর্গহীন আক্রান্তদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি উপসর্গ প্রকাশ পাওয়া রোগীদের অ্যান্ডিবডির তুলনায় দ্রুত হারিয়ে যায় বলে ব্রিটেনে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে।
লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজ এবং রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ইপসোসের করা গবেষণার অনুসন্ধানে আরও বলা হয়েছে, অ্যান্টিবডি হারানোর হার ৭৫ বা এর বেশি বয়সের লোকদের তুলনায় ১৮-২৪ বছরের মধ্যে তুলনামূলক ধীর গতির।
জুনের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড জুড়ে হাজার হাজার মানুষের নমুনা নিয়ে গবেষকেরা দেখেছেন যে, এক-চতুর্থাংশের বেশির ভাগের ক্ষেত্রে ভাইরাস ভাইরাস অ্যান্টিবডির বিস্তার কমে গেছে।
এটাকে ‘জটিল প্রকৃতির’ একটি গবেষণা বলে উল্লেখ করে ব্রিটিশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জুনিয়র পর্যায়ের মন্ত্রী জেমন বেথেল বলেছেন, “সময়ের সাথে সাথে কভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডির গতি প্রকৃতি বুঝতে এটা আমাদের সহায়তা করবে।”
তবে আক্রান্তদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি দীর্ঘ মেয়াদে করোনা প্রতিরোধ করতে পারে কি-না এ বিষয়টি এখনো অজানা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ইম্পিরিয়ালের স্কুল অব পাবলিক হেলথের বিজ্ঞানী পল এলিয়ন বলেছেন, “কী পরিমাণ অ্যান্টিবডির পাওয়া যায় এবং এই ইমিউনিটি কতদিন স্থায়ী হয় তা এখনও অজানা।”
গবেষণার প্রয়োজনে ২০ জুন থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাছাই করা ৩ লাখ ৬৫ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের কাছ থেকে করোনাভাইরাস অ্যান্ডিবডি নেওয়া হয়। প্রায় তিনমাস পর দেখা যায়, অ্যান্টিবডির মাত্রা ২৬.৫ শতাংশ কমে এসেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে কোনো উপসর্গ ছিল না তাদের অ্যান্টিবডির মাত্রা কমেছে বেশি। অ্যান্টিবডি কমার কারণে ফের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে কি-না এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি গবেষণায়।
গবেষক হেলেন ওয়ার্ড বলেছেন, “এটা খুব বড় পরিসরের গবেষণা ছিল। এখানে দেখা, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষজনের একটা অংশ অ্যান্টিবডি কমেছে।”
“তবে আমরা এখনো জানি যে, এসব মানুষ ফের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে কি-না। তবে নিজেদের এবং অন্যদের ঝুঁকি কমাতে সবাইকে নির্দেশনাগুলো চালিয়ে যাওয়া দরকার।”
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03