সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হুসেইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইজ্জত ইবরাহিম আল-দৌরির মৃত্যু হয়েছে। তিনি ছিলেন সাদ্দামের জীবিত ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম।
মিডল ইস্ট আই জানায়, ইরাকি বাথ পার্টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে।
বর্তমানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ইরাকি সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টি আল-দৌরিকে ‘বাথ এবং ইরাকি জাতীয় প্রতিরোধের নাইট’ বলে আখ্যা দেয়। আরও বলে, তিনি সাদ্দাম হুসেইন এবং অন্যান্য প্রয়াত বাথপন্থীদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। যদিও তার মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি।
আরব বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা সাদ্দামের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন আল-দৌরি। সাবেক ইরাকি শাসকের ‘ডানহাত’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযান চালালে তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এরপর তাকে খুব একটা প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
তিকরিতের কাছে এক এলাকায় জন্ম নেয়া আল-দৌরিকে ডাকা হতো ‘আইসম্যান’ নামে। এক সময় বরফ সরবরাহের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
১৯৬৮ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে ইরাকি বাথ পার্টি। সেসময় বার্থ পার্টি নেতা আহমেদ হাসান আল-বাকার ইরাকের প্রেসিডেন্ট হন, প্রধানমন্ত্রী হন সাদ্দাম হুসেইন। আল-দৌরি সেসময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ছিলেন।
পরবর্তীতে ইরাকি রেভ্যুলশনারি কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি এবং সাদ্দামের অন্যতম বিশ্বস্ত সহযোগী হয়ে উঠেন। ইরান ও কুয়েতের সঙ্গে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
আনফাল ক্যাম্পেইনের অন্যতম কারিগর বলা হয়ে থাকে তাকে। ক্যাম্পেইনটির মাধ্যমে ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত কয়েক লাখ কুর্দি নিধন সংগঠিত হয়। যেটিকে ‘কুর্দি গণহত্যা’ হিসেবেও পরিচিত।
আল-বাকারের পরে বার্থ পার্টির প্রধান এবং ইরাকের প্রেসিডেন্ট হন সাদ্দাম। ২০০৩ সালে ইঙ্গ-মার্কিন নেতৃত্বে ইরাক আক্রমণ করে। সাদ্দাম ব্যাপক ধ্বংসাত্বক জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছেন এমন অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে, যদিও পরবর্তিতে এমন কোন অস্ত্রের হদিস পাওয়া যায় নাই।
১৩ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে সাদ্দাম মার্কিন সেনাদের কাছে ধরা পড়েন। পরবর্তী ইরাকি সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে এক বিচারে তাকে ফাঁসি দেয়। ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকর হয়।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03