সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে সিলেটে চলছে কোচিং বাণিজ্য

সিলেট অফিস,

  • প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ

মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে দেশের সবকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। এ নির্দেশনা তা মানা হচ্ছে না সিলেটে। সরকারী-বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই কোচিং সেন্টার। কোথাও সাইনবোর্ড সরিয়ে, আবার কেউ কেউ পুরানো কৌশল অবলম্বন করে এই বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আর প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন অভিযান না থাকায় একের পর এক কোচিং সেন্টার খোলার সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কয়েকটি কোচিং সেন্টার চালু থাকায় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সরকারী-বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কতিপয় শিক্ষকসহ বেকার শিক্ষিত যুবকরা সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সকাল-দুপুর ও বিকেলে চালিয়ে যাচ্ছেন কোচিং। এতে করে নিয়ম মানা শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সুত্র জানায়, করোনা সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয় এমন আশংকায় সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশনা এখনো বহাল রয়েছে। শিক্ষার্থীরাও কোচিং সেন্টারে আসা বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও সেপ্টেম্বর মাস থেকে খুলেছে বেশিরভাগ কোচিং সেন্টার। করোনার কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কোচিং সেন্টারগুলো কিভাবে চলছে। প্রশাসন বিষয়টি জেনেও কি রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না। এমন প্রশ্ন নগরীর সচেতন বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীতে বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু শিক্ষক এই নির্দেশ অমান্য করে প্রাইভেট পড়ানোর নামে জমজমাট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব শিক্ষক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভাড়া করা বাসায় কিংবা কক্ষে ব্যাচ করে চলছে কার্যক্রম। একসঙ্গে ২৫ থেকে ৩০জন পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে বসে চলছে পাঠদান। অনেক নামিদামি কোচিং সেন্টার শিক্ষার্থীদের থেকে অগ্রিম ফি পরিশোধ করতে বলছে। অগ্রিম ফি পরিশোধ না করলে কোচিং সেন্টারের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh