মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীকে অপহরণের দায়ে ৩ বাংলাদেশী গ্রেফতার 

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি,

  • প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২০, ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিকে অপহরণে স্বদেশি ৩ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গত ২ অক্টোবর আনুমানিক সময় রাত সাড়ে ৮ টায় চারজন লোক একটি সাদা (ইসুজু ডি ম্যাক্স) গাড়িতে করে অ্যাপার্টমেন্ট পাংসাপুরি প্রেমাই- সেকশন -৩, jalan Tropicana selatan PJU, এর সামনে এসে দাঁড়ায়।

গাড়িতে থাকা ৪ জন বাংলাদেশি গাড়ী থেকে নেমে আলী আরশাদ নামের একজন বাংলাদেশী শ্রমিককে প্রথমে কাজের কথা বলে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। আরশাদ গাড়িতে যেতে না চাইলে তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী নার্সারিতে জঙ্গলের ভিতরে একটা ঘরে নিয়ে তাকে আটকে রাখে। আরশাদ আটকে রেখে তারা ক্ষান্ত হয়নি।

অপহরণকারিরা আলী আরশাদের হাত মোটা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। তারপর লোহার শিকল দিয়ে পা বেঁধে শুরু করে পাশবিক নির্যাতন। নির্যাতনের সময় আলী আরশাদের প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ইমু এ্যাপসের মাধ্যমে ভিডিও কল দিয়ে নির্যাতনের দৃশ্য দেখিয়ে পরিবারের কাছে ৩০ হাজার রিঙ্গিত যা বাংলাদেশি টাকায় ৬ লাখ টাকা সমপরিমাণ মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তিপন দিতে অস্বীকৃতি জানালে নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অপহরণকারিরা। সন্তানের নির্যাতনের দৃশ্য দেখে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে পরিবারের পক্ষ থেকে ২ দিনের সময় চাওয়া হয় অপহরণকারিদের কাছে।

এদিকে ওই রাতেই আলী আরশাদের কিডন্যাপের খবর পেয়ে যান মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ইমাম হাজারী। খবর পাওয়ার কিছুক্ষণ পর ব্যবসায়ী ইমাম হাজারীর হোয়াটসঅ্যাপে কিডন্যাপ হওয়া আলী আরশাদের ছবি পাঠিয়ে একজনের সহযোগিতা চান।
পরদিন সকালে দামানছারা থানায় (বালাই) হাজারি একটি মামলা দায়ের করেন। ইমাম হাজারীর করা মামলার সূত্র ধরে ৩/১১/২০২০ তারিখে বিকেল পাঁচটায় কিডন্যাপ হওয়া আলী আরশাদকে উদ্ধার করা হয় এবং স্বদেশি তিন বাংলাদেশিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, ফারুক (কুমিল্লা), নুরুন্নবী (কুমিল্লা), বিপ্লব কুমার (যশোর)।
দামানছারা থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর অ্যাডাম বলেন, এর সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং তাদেরকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
এ বিষয়ে ইমাম হাজারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু সংঘবদ্ধচক্র কিডন্যাপিং এ সাথে জড়িত। বিডনাপাররা মূলত টার্গেট করে অসহায় প্রবাসীদের এবং তাদের কাজের কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে তাদের উপর অত্যাচার করে ভিডিও ফুটেজ অথবা ছবি তার বাংলাদেশের পরিবারের কাছে পাঠায় এবং তাদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...