সব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
স্বামী জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় জিল বাইডেন ‘সম্ভাব্য ফার্স্ট লেডি’ থেকে এখন আমেরিকার ‘ফার্স্ট লেডি’হচ্ছেন। আগামী ৪ বছরের জন্য হোয়াইট হাউসই হবে তার আবাসস্থল। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পূর্ণকালীন পেশাজীবী নারী হিসেবে প্রথম ফার্স্টলেডি হতে যাচ্ছেন ড. জিল বাইডেন। ইউএস টুডে।
বাইডেন প্রার্থী হওয়ার পর জিল তার স্বামীর সঙ্গে যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন সেসময় ‘সম্ভাব্য ফার্স্ট লেডি’ হিসেবে কয়েক দশকের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্ত্রীর নানান গুণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন।
‘দেশজুড়ে আপনারা যারা আছেন, আপনারা আপনাদের প্রিয় শিক্ষকের কথা ভাবুন, যিনি আপনাকে নিজের উপর আস্থা রাখার আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছেন। জিল বাইডেন তেমন ফার্স্ট লেডিই হতে যাচ্ছেন’বলেছিলেন তিনি। ওই বক্তৃতাপর্বের পর কয়েক মাস পেরিয়ে গেছে। স্বামী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। সামনে নতুন দায়িত্ব আসছে জিলের জীবনেও।
৪৩ বছর আগে ১৯৭৭ সালে নিউ ইয়র্কে বিয়ে করে সংসার পেতেছিলেন জো আর জিল। ৪ বছর পর তাদের মেয়ে অ্যাশলে বাইডেনের জন্ম। জোর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার আগে ১৯৭০ সালে জিলের বিয়ে হয়েছিল সাবেক কলেজ ফুটবলার বিল স্টিভেনসনের সঙ্গে। কিন্তু ১৯৭৪ সালে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ১৯৭২ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় জো বাইডেন তার প্রথম স্ত্রী ও এক বছর বয়সী মেয়েকে হারান। তবে ওই দুর্ঘটনায় তাদের দুই ছেলে বেঁচে গিয়েছিল।
ওই ঘটনার তিন বছর পর জিলের সঙ্গে জো-র পরিচয় হয়। জো-র ভাইয়ের মাধ্যমে এ পরিচয় হয়েছিল বলে জিল জানিয়েছেন।
ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ক্যাথরিন জিল বলেন, ‘অনেক মার্কিন নারীই নিজেদের কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলান। কিন্তু ফার্স্ট লেডিরা এটি করতে পারেন না। কিন্তু এখন সেই সময় এসেছে যে আমেরিকানরা অভ্যন্ত হবেন যে ফার্স্ট লেডি ২৪ ঘণ্টা হোয়াইট হাউসে থাকবেন না।’
২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামীর সূত্রে জিল যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেকেন্ড লেডি’ ছিলেন । ওই ৮ বছর তিনি কমিউনিটি কলেজের প্রসার, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পরিবারের সহায়তায় নানান কর্মকাণ্ড এবং স্তন ক্যান্সার রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে যুক্ত ছিলেন।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03