সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
ক্ষতিকর গ্যাসের নিঃসরণজনিত বায়ুদূষণ কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহনের ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে যানবাহন ও এর জ্বালানি মানের উন্নয়ন, মোটর গাড়ির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিবহন কাঠামো ও এর সার্ভিসের উন্নয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর ) জাতিসংঘ ও জাতিসংঘ পরিবেশসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন অ্যান্ড রেজিলেন্স ইন ট্রান্সপোর্ট’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের ২য় অধিবেশনে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘এশিয়া অঞ্চলে গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি ও ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটর সাইকেলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বেড়েছে। ফলে গ্রিন হাউজ গ্যাসের নিঃসরণও আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ দেশই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষর ও অনুমোদন করেছে। শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় বর্তমানের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন পরিকল্পনা জমা দিয়েছে। এশিয়ার দুই প্রধান অর্থনীতি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিউট্রালিটি ঘোষণা করেছে। সম্মিলিত পরিকল্পনায় সকলে একযোগে কাজ করলেই আমরা সফল হতে পারব।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ‘ক্লিন এয়ার এশিয়ার’ ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর গ্লিন্ডা বাথান, স্টকহোম এনভাইরনমেন্টাল ইন্সটিটিউটের এফিলিয়েটেড রিসার্চার লাইলাই লি, ওয়ার্ল্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের সিটিজ এন্ড ট্রান্সপোর্ট বিভাগের ম্যানেজার চৈতন্য কানুরি, সিনো-কানাডিয়ান কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট রবার্ট আরলি, মঙ্গোলিয়ার পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিশ্বব্যাংক ও জাইকার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03