পর্তুগালে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অবস্থা নাজেহাল

করোনার দ্বিতীয়ধাপে আবারও মারাত্বক ক্ষতির দিকে ধাবিত হচ্ছে পর্তুগালে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। জরুরি অবস্থা ও রাত্রিকালীন কারফিউ জারির কারণে আবারও পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে পর্তুগাল। বাংলাদেশিদের পর্যটন নির্ভর ব্যবসা হওয়ায় বেচাকেনা নাই বল্লেই চলে। ইউরোপের প্রায় সকল দেশ লোকডাউনে আন্তর্জাতিক ও ইউরোপের আভ্যন্তরিক ফ্লাইটও বন্ধ হবার পথে।

অন্যদিকে,করোনা মাহামারির দ্বিতীয়ধাপে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মত পর্তুগালেও ব্যপকভাবে আঘাত হেনেছে কোভিড-১৯। মার্চ থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত ছয় মাসে আক্রান্ত ৫৮,০১২ জন হলেও গত দুই সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছে ৫৭,০২৯ জন। এছাড়াও গড়ে মারা যাচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ জন যা অতীতের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশি অধ্যুসিত লিসবনের বেনফোরমসো এলাকায় ট্রাভেল এজেন্সির দোকানগুলোতে পূর্বে দিনে ২০-৩০টি আন্তর্জাতিক টিকিট বিক্রি হলেও এখন তা শূন্যের কোঠায়। আবার যারা টিকিট করছেন তারা অধিকাংশই চাকরি না থাকায় দেশে ফিরছেন। বিশেষ কড়াকড়ি আরোপ করায় ইউরোপের আভ্যন্তরিক ফ্লাইটও বন্ধের দিকে। ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হবার আশংখ্যাতেও অনেক অভিবাসী দ্রুত পর্তুগাল ছাড়ছেন।

আরও জানা যায়, চাকরি না থাকায় এবং অধিকাংশ লোকের ব্যবসার ক্ষতির কারনে রেমিটেন্স পাঠানো প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে পর্তুগালে। আগে প্রতিদিন ব্রাক সাহজাহান, রিয়া, নেক ম্যানি, বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর এজেন্সি দ্বারা একটি দোকানে মাসে ২৫০-৩০০ টি লেনদেন হলেও এখন কমে প্রায় ১০০ টি নেমে এসেছে। গত কয়েক মাসে পর্তুগাল থেকে বাংলাদেশ ব্যপক পরিমান রেমিটেন্স পেলেও তা আবারও কমে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য শনিবার প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা মন্ত্রীসভার বঠক করেন যেখানে বিভিন্ন বিষয় সমাধানের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মূলত, ভিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নতুন ব্যাংক লোন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফান্ডের জন্য জন্য আলোকপাত করেন মন্ত্রীরা।

এছাড়াও কোরনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা সাংবাদিকদের সামনে নতুন কারফিউ ঘোষণা দেন। জারি করা কারফিউ ৯ নভেম্বর থেকে আগামী ২৩ নভেম্বর ১২১ টি সিটিতে বলবত থাকবে।

[১] [২] [৩]