১০ বছর পর সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নির্বাচন : ৫ ডিসেম্বর ভোট গ্রহন

স্পোর্টস ডেস্ক,

  • প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২০, ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

# ৯০ দিনের এডহক কমিটির ৫ বছর পার # মাহি উদ্দিন সেলিমের পদত্যাগ

নির্বাচন শব্দটাই যেন ভুলতে বসেছিলো সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থা। আইনী জটিলতাসহ নানা কারণে জেলা ক্রীড়া সংস্থা নির্বাচনের চোখ দেখেনি দীর্ঘ ১০ বছর। অবশেষে নির্বাচনের ‘একটু’ হাওয়া লেগেছে ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংস্থায়। এজন্য নির্বাচনে লড়বেন বলে দীর্ঘ সময় দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিমও পদত্যাগ করেছেন। তার চেয়ারে বসেছেন অ্যাডহক কমিটির সদস্য বিজিত চৌধুরী।

৯০ দিনের জন্য দেয়া হলেও মাহি উদ্দিন সেলিম দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর এডহক কমিটিরই সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী এডহক কমিটির কেউ নির্বাচন করার সুযোগ নেই। আর তাই মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আবারো তিনি এই চেয়ারে বসছেন এটাই বলছে ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট সূত্র। কারণ তার সাথে প্রতিদ্বন্ধিতায় কেউ আসছেন কিনা, বা কে আসবেন সেটা নিয়ে এখনো ধুয়াশা কাটছেনা।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এম কাজী এমদাদুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.আসলাম উদ্দিনকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন সম্পন্ন করতে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দিয়েছেন। গঠন করেছেন নির্বাচন কমিশন।
আর গঠিত নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে একটিমাত্র পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো: আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর। মনোনয়ন ফরম দাখিল ১৭ হতে ১৯ নভেম্বর। মনোনয়ন ফরম বাছাই ২১ নভেম্বর। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ নভেম্বর। চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২৫ নভেম্বর। এবং ভোট গ্রহন ৫ ডিসেম্বর।

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সর্বশেষ ২০১০ সালের ডিসেম্বরে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন হয়েছিল। তখন নির্বাচনের অনেকটা জৌলুস ছিলো। ছিলো আমেজ। এর পর কেটে গেলো প্রায় ১০ বছর। আর নির্বাচনের চোখ দেখেনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা। মাঝে একাধিকবার নির্বাচনের কথা শুনা গেলেও তা হয়নি। এ নিয়ে সিলেটের ক্রীড়াঙ্গন অনেকটা হতাশার চাদরে ঢাকা ছিলো। ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভ রয়েছে অন্তহীন।

ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন করার নির্দেশনা রয়েছে আদালতের। নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আসলাম উদ্দিন জানান, শিগগিরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্নের জন্য আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।

সর্বশেষ নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ২০১৫ সালের এপ্রিলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও মাহিউদ্দিন সেলিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি করে দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কমিটির অন্যান্য সদসরা হলেন, সহ সভাপতি সিলেটের পুলিশ সুপার, কোষাধ্যক্ষ মো. সিরাজ উদ্দিন, সদস্য অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, বিজিত চৌধুরী ও নাজনীন হোসেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইতিহাসে এটাই দীর্ঘ মেয়াদী অ্যাডহক কমিটি। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের জন্য অ্যাডহক কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু নানা কারণে বার বার ব্যর্থ হয় এডহক কমিটি। ব্যর্থতা এক পর্যায়ে সাড়ে পাঁচ বছর স্পর্শ করে।

এ ব্যাপারে মাহি উদ্দিন সেলিম জালালাবাদকে বলেন, ‘ আমি পদত্যাগ করেছি গতমাসে। নির্বাচনে লড়তে হলে পদত্যাগ করতে হয়। তিনি জানান, আগামি ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা ইতিমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল জালালাবাদকে বলেন, আমরা চাই একটি সুন্দর নির্বাচন। সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে সিলেটের ক্রীড়াঙ্গনে আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসুক।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...