সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
শিশুদের সাইবার হয়রানি থেকে সুরক্ষা দিতে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে ‘শিশুদের নোবেল’ খ্যাত আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ সাদাত রহমান।
শুক্রবার নেদারল্যান্ডসে পুরস্কারের নাম ঘোষণা করেছে আয়োজকরা। সেখানে বাংলাদেশের নড়াইলের এই কিশোর ৪২ দেশের ১৪২ জন প্রতিযোগীর মধ্যে এই পুরস্কার জিতলেন।
তার সঙ্গে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় উঠে আসা অন্য দুজন হলেন মেক্সিকোর ইভান্না ওরতেজা সেরেট ও আয়ারল্যান্ডের সিয়েনা ক্যাস্টেলন।
শুক্রবার সাদাতের হাতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পুরস্কার তুলে দেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফ জাই।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে সাদাত রহমান বলেন, এটা আমার জন্য, বাংলাদেশের জন্য একটা সম্মান। আমি সত্যিই অভিভূত। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যভহার বেড়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের অন্যতম একটা অংশ দেশের কিশোর-কিশোরীরা। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা নিয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। আমরা একট দল সাইবার বুলিং মোকাবিলায় ‘সাইবার টিনস’ নামে অ্যাপটি তৈরি করি। সবার প্রচেষ্টায় আমরা এমন একটি কাজ করতে পেরেছি। এজন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞতা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় এই কাজ আমাদের সহজ করেছে।
বক্তব্য শেষে তার অনুভূতি জানতে চান অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। এসময় তিনি সাদাতকে মালালা ইউসুফজাইয়ের মতো একজন যোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করেন।
সাদাত রহমান নড়াইল আবদুল হাই সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২০১৫ সালে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে এক কিশোরী আত্মহত্যার পর তিনি ‘নড়াইল ভলেন্টিয়ারস’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন। এরপর দেশে অনুষ্ঠিত কয়েকটি প্রতিয়োগিতায় জিতে একটা ফান্ড তৈরি করেন তিনি। পরে সেই ফান্ড থেকেই ‘সাইবার টিনস’ নামে অ্যাপটি তৈরি করেন।
অ্যাপটি দিয়ে কিশোর–কিশোরীরা জানতে পারে কীভাবে ইন্টারনেট দুনিয়ায় সুরক্ষিত থাকতে পারে। প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিশোর–কিশোরী এই অ্যাপ ব্যবহার করছে। এই অ্যাপের মাধ্যেম ৬০টির বেশি অভিযোগের মীমাংসা হয়েছে এবং ৮ জন সাইবার অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে।
বিশ্ব শিশু শান্তি পুরস্কার প্রবর্তন হয় ২০০৫ সালে রোমে অনুষ্ঠিত নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের এক শীর্ষ সম্মেলন থেকে। সেখানে ‘কিডস-রাইটস’ নামের একটি সংগঠন পুরস্কারটি চালু করে।
শিশুদের অধিকার উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় অসাধারণ অবদানের জন্য প্রতিবছর আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03