রানির পিআর থেকে যেভাবে নায়িকা

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২০, ৮:০৫ অপরাহ্ণ

চলচ্চিত্র ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে এলেও অভিনয় নিয়ে এগোনোর স্বপ্ন খুব একটা দেখতেন না। বরংচ পড়াশোনা নিয়েই থাকতে পছন্দ করতেন। পরে অবশ্য চলচ্চিত্রকেই ক্যারিয়ার হিসাবে বেছে নেন। তবে কোনও কূলই রক্ষা হয়নি তার। বলছি বলিউড অভনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার কথা। তার স্বপ্ন ছিলো ব্যাংকার হওয়ার। না হতে পারলেন ব্যাংকার, না উঠতে পারলেন ফিল্ম ক্যারিয়ারে শিখরে।

বলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানি মুখার্জির পিআর থেকে বলিউডে যাত্রা শুরু করা পরিণীতি চোপড়া খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হারিয়ে গেলেন।

হরিয়ানার অম্বালায় জন্ম নেওয়া পরিণীতি ব্যবসায়ী বাবার মেয়ে। ছোট থেকেই তার স্বপ্ন ব্যাংকার হওয়ার। পড়াশোনাতেও তিনি ভাল ছিলেন। ১৭ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে চলে যান। ম্যানচেস্টার বিজনেস স্কুল থেকে বিজনেস, ফিন্যান্স এবং ইকোনমিকস-এ স্নাতকোত্তর করেন। পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভাল হওয়া সত্ত্বেও তিনি পড়া চলাকালীন সময়ে উপার্জন করতে শুরু করেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের কেটারিং বিভাগের টিম লিডার হয়ে কাজ শুরু করেন।

২০০৯ সালে যখন বিশ্ব জুড়ে চাকরির বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছিল, তখন ভারতে ফিরে আসেন তিনি। তখন দিদি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কাছেই থাকতে শুরু করেন। দিদির সঙ্গেই যশ রাজ ফিল্ম স্টুডিওতে যান তিনি। তার পর এই স্টুডিওর পাবলিক রিলেশন টিমের সঙ্গে ইন্টার্নশিপ করতে শুরু করেন। বেশ কিছু দিন এভাবে কাজ করার পর তার চাকরি স্থায়ী হয়ে যায়। তার কাজ ছিল রানি মুখার্জি, রণবীর সিংয়ের মতো অভিনেতাদের ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া এবং তাদের প্রমোশন দেখা। তাদের পিআর হয়েই কাজ করতেন তিনি।

যশ রাজ ফিল্মের ‘ব্যান্ড বাজা বরাত’-এর প্রমোশনের পুরো দায়িত্ব ছিল পরিণীতির উপর। ফিল্মের প্রমোশনের কাজ করার সময় তার অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। তার আগে পর্যন্ত অভিনেত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছা ছিল না। পরিচালক মণীশ শর্মা তাকে আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর ‘জাব উই মেট’-এর একটি দৃশ্যে অডিশন দিয়েছিলেন পরিণীতি। তার অভিনয় আদিত্য চোপড়ার ভাল লাগে এবং পরবর্তী তিনটি ফিল্মে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।

২০১১ সালের ফিল্ম ‘লেডিস ভার্সেস ভিকি বহল’-এ ডেবিউ করেন তিনি। ফিল্ম খুব একটা লাভের মুখ না দেখলেও পরিণীতির অভিনয় দর্শকেরা পছন্দ করেন। তার দ্বিতীয় ছবি ছিল অর্জুন কাপুরের বিপরীতে। পরপর দুটো ফিল্মেই তিনি দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন। তৃতীয় ছবিও হিট হয়। ইতিমধ্যেই অনেকগুলো পুরস্কারও নিয়ে যান তিনি।

কিন্তু গ্ল্যামার দুনিয়ায় টিকে থাকতে গেলে শুধু অভিনয়ে কিছু হয় না। পরিণীতিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পরিণীতির চেহারা পছন্দ করছিলেন না দর্শক। অন্যান্য নায়িকাদের তুলনায় তিনি ছিলেন মোটা। ২০১৪ সালের ফিল্ম ‘দাওয়াত এ ইশক’-এর পর তার ক্যারিয়ার হঠাৎ করেই পড়তে শুরু করে। এর ৩ বছর পর ২০১৭ সালে তিনি কামব্যাক করেন। তখন চেহারাতেও অনেক পরিবর্তন আসে তার। কিন্তু কামব্যাকের পর তার একমাত্র সুপার হিট ছবি ‘গোলমাল এগেইন’। এই ছবি সুপারহিট হওয়ার পিছনে অবশ্য তার খুব একটা কৃতিত্ব নেই। ‘গোলমাল’ সিরিজের সব ছবি এমনিতেই হিট। অভিনয়ে পারদর্শী হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ১০ বছরেই ঝিমিয়ে পড়েছে তার ফিল্ম ক্যারিয়ার।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...